দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জুলাই পর্যন্ত নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করছে স্পেন।
বুধবার (১৩ মে) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মহামারির কারণে মার্চের মাঝামাঝিতে জরুরি অবস্থা জারি করার পর থেকে ফ্রান্স এবং পর্তুগালের সঙ্গে স্পেনের স্থল সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। ফলে অর্থনীতিতে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে এবং দেশটির পর্যটন খাতও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সাধারণ জনগণের জন্য স্পেনে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তবে বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। অন্য দেশ থেকে যাতে নতুন করে কেউ ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসতে না পারেন তাই বিশেষ করে আকাশ ও সমুদ্র সীমানা বন্ধ রাখছে স্পেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সূত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা যখন নতুন করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাব তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য সীমান্ত খুলে দিতে পারব। জুলাইয়ের শুরুর দিকে সীমান্ত খোলার ব্যাপারে আমরা কথা বলছি।
দ্বিতীয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন জুলাইয়ের আগে সরকার সীমান্ত খুলে দেবে না।
প্রতি বছর স্পেন ভ্রমণে যায় প্রায় ৮০ মিলিয়ন মানুষ, যা দেশটির জিডিপিতে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যুক্ত করে। স্পেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভ্রমণ করা দেশ।
বিভিন্ন স্থান যেমন ব্যালেয়ারিক দ্বীপের হোটেল ব্যবসায়ীরা জার্মানি অথবা অন্যান্য যেসব দেশ থেকে অধিকাংশ পর্যটকরা আসেন, তাদের সাথে বিশেষ ভ্রমণ করিডোর তৈরি করতে সরকারের সাথে আলোচনা করছে।
বুধবার (১৩ মে) ইউরোপীয় কমিশন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তের মধ্যে পর্যটন চালু করার ব্যাপারে গাইডলাইন নির্ধারণ করে দেবে। গ্রীষ্মের মৌসুমে করোনায় বিধ্বস্ত পর্যটন খাতকে বাঁচাতে বিমানের যাত্রীদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।