করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন বিপজ্জনক বলে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।
যদিও দেশটির প্রেসিডেন্ট ওষুধ দুটির ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী ছিলেন। তিনি ওষুধ দুটি ব্যবহারে স্বাস্থ্য বিভাগকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছিলেন।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্টের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
সংস্থাটি জানায়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন করোনা আক্রান্ত রোগীদের হৃদযন্ত্রের ছন্দে বিপজ্জনক অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করতে পারে।
এফডিএ বলেছে, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বা ক্লোরোকুইন অন্যান্য ওষুধের সাথে মিশে হার্টের ছন্দ ব্যাহত করতে পারে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ অনেকে নিজেরাই হাসপাতালের বাইরে ওষুধটি ব্যবহার করছে বলে বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এফডিএ বলেছে, হাইড্রোক্সিওক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন করোনাভাইরাস রোগীদের সাহায্য করতে পারে এমন কোন প্রমাণ নেই। ওষুধ দুটি ম্যালেরিয়া ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত। ফ্রান্স ও চীন থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ওষুধগুলির প্রতি আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। যদিও রিপোর্টগুলিতে ওষুধগুলি আসলে কাজ করে কিনা তা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনার চিকিৎসায় বার বার হাইড্রোক্সিওক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকগুলি হাসপাতালে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারও করা হয়।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ফেডারেল এজেন্সির নেতৃত্ব দেওয়া এক কর্মকর্তাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ইস্যুতে তার পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। মার্কিন প্রশাসন বিজ্ঞানের চেয়ে রাজনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওষুধগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে কিনা সেই পরীক্ষা সম্পন্ন না করে এটার ব্যবহার রোগীকে আরও ঝুঁকিতে ফেলে তার জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।