করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে গিয়েও সুস্থ হয়ে উঠেছেন বেলজিয়ামের এক চিকিৎসক।
“আমি আমার শেষ দেখতে পাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম—মারা যাচ্ছি, আর কোনদিন চোখ মেলে তাকাতে পারব না।”
কথাগুলো বলছিলেন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া বেলজিয়ান চিকিৎসক অ্যান্টনি স্যাসিন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ছয় সপ্তাহ ধরে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন। তিন সপ্তাহের বেশি সময় কেটেছে তার কোমায়।
৫৮ বছর বয়সী এই চিকিৎসক এবং তার টিমের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ডা. স্যাসিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
ডা. স্যাসিন রয়টার্সকে জানান, কোমায় নেওয়া হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বোধ তার জাগ্রত ছিল। নিজের মৃত বাবাকেও দেখতে পেয়েছেন বলে জানান স্যাসিন।
গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে ডা. স্যাসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
নিজের অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার বাবাকে দেখেছি, যিনি ৪ বছর আগে মারা গেছেন। তার সাথে আমি কথাও বলেছি। যখন আমি চোখ মেলে আমার বন্ধুদের মুখ দেখলাম—সেই সময়ের আনন্দ বর্ণনাতীত!
ডা. স্যাসিন এখন নিজের পরিবারের সদস্যদের দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসার পর থেকে তিনি স্বজনদের একবারের জন্যও দেখতে পাননি।
উল্লেখ্য, বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪৯৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিকত হয়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৬৮৩ জনের।