ইরানে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা কমতে শুরু করায় শনিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে রাজধানী তেহরানের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দেশের বাকি অংশ চালু করার এক সপ্তাহ পর তেহরানে কিছু দোকান, কারখানা এবং ওয়ার্কশপ চালু করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো কম ঝুঁকিপূর্ণ।
গত সপ্তাহে অনেক সরকারি অফিস চালু হয়েছে। তবে এগুলোর এক তৃতীয়াংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করছেন। শনিবার (১৮ মার্চ) তেহরানের রাস্তায় বেশ যানজট দেখা যায়। অনেকেই আশঙ্কা করছেন এখনই এত ভীড় থেকে মহামারি আবার খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে।
রাজধানীর সরকারি করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের প্রধান আলীরেজা জালির বরাত দিয়ে সরকারি গণমাধ্যমে বলা হয়, তেহরানে করোনাভাইরাস এখনো মহামারির পর্যায়ে আছে এবং তীব্র যানজট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেমন, থিয়েটার, জিম, বিউটি সেলুন এবং শপিং মল এখনো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। রেস্টুরেন্টগুলো শুধু হোম সার্ভিসের জন্য খোলা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রয়েছে এবং সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ক্রীড়া সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া এপ্রিলের শেষ থেকে শুরু হতে যাওয়া রমজান মাস উপলক্ষে জমায়েতপূর্ণ অনুষ্ঠানেও ইরান নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা কমতে থাকায় এ মাসের শুরুর দিকে পুনরায় সব চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। শনিবার (১৮ মার্চ) মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭৩ যা ১২ মার্চের পর থেকে সর্বনিম্ন।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর বলেন, এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩১ জন। শনিবার টানা ৫ম দিনের মত মৃতের সংখ্যা ১০০ এর নিচে থেকেছে। করোনায় মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম।