মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলছে। করোনাভাইরাসের প্রাদর্ভাবের ঝুঁকি এড়াতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের তিন শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন।
এ চলমান যুদ্ধের ফলে বাস্তুচ্যুত কয়েক লাখ মানুষ করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ কিছু জাতিগত অঞ্চলে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ইতিমধ্যে মিয়ানমারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে ১৪ রোগী শনাক্ত করা রয়েছে। তারা রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) মোট ৩৪৫টি মানবাধিকার সংগঠন একটি যৌথ বিবৃতিতে সরকার এবং জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অবিলম্বে লড়াই বন্ধের আহ্বান জানায়।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মুখপাত্র সো মিন নাইং বলেন, উভয় পক্ষেরই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা উচিত এবং করোনভাইরাসের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় সহায়তা করতে একসাথে কাজ করা উচিত।
তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই যুদ্ধবিরতি অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সাহায্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশে ১২৮ আইডিপি ক্যাম্পে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে উত্তর-পূর্ব শান রাজ্য এবং পশ্চিম রাখাইন রাজ্য সহ জাতিগত অঞ্চলে স্থাপিত ক্যাম্পগুলোতে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।