অবশেষে ইইউ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তির অনুমোদন

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-20 06:59:53

অবশেষে আলোচিত ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্ট সদস্যরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ইইউ পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর ব্রেক্সিট চুক্তি পাস হয়েছে।

এদিন ভোটাভুটিতে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের পক্ষে ৬২১ ভোট এবং বিপক্ষে মাত্র ৪৯ ভোট পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসবে যুক্তরাজ্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হচ্ছে ২৮টি দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট। এ জোটের সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে। এসব দেশের নাগরিকরা জোটভুক্ত যেকোনো দেশে গিয়ে থাকতে ও কাজ করতে পারেন। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য ইইউতে যোগ দেয়। তখন এটির নাম ছিল- ইইসি (ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কম্যুনিটি)। এর লক্ষ্য ছিল সুলভ মূল্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য ও অভিন্ন বাজারসুবিধা। ১৯৯৩ সালে ইইউ নিজস্ব মুদ্রা, নীতিমালা, নাগরিকদের জন্য সীমানামুক্ত বিচরণ যুক্ত করাসহ অনেকগুলো পরিবর্তন আনে।

১৯৭৩ সালে যে দেশ ইইউতে যোগ দিয়ে তারা কেন বেরিয়ে যেতে চাইছে এ জোট থেকে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, যে ব্রেক্সিট সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছিল যুক্তরাজ্যে, সেটিই আবার যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনগণকে দিচ্ছে বাড়তি সুবিধা, যেমন- শিক্ষা, চিকিৎসা, আর্থিক অনুদান ও সামজিক নিরাপত্তা। আর এর মধ্যে দিয়ে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ অগ্রাধিকার বিবেচনায় বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বাড়তি সুবিধা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী নাগরিকদের মনে। যেখানে তারা জন্মগতভাবে একটি বাড়ি কিংবা গাড়ি কেনার অনুমোদন পেতে হিমশিম খাচ্ছেন; সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন নাগরিক হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো একই সময়ে সেসব সুবিধা ভোগ করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনকি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিকের আগেই সে এসব সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে নিজ দেশে পরবাসী এ নীতিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিক। তাদের দাবি, নিরাপত্তার প্রশ্নেও এই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অবাধনীতির দ্বার উন্মুক্ত নয়, বরং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর