চীনের বাইরে নতুন করোনাভাইরাসকে পুনরায় তৈরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। আর নতুন এই ভাইরাস করোনার চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করছেন তারা।
নতুন এই উদ্ভাবনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। তারা জানায়, ভাইরাসটি শনাক্তকরণ এবং চিকিত্সার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রচেষ্টায় এটি সহায়তা করতে পারবে।
এদিকে প্রতিশোধক আবিষ্কারের জন্য চীনের বিজ্ঞানীরাও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীন করোনা ভাইরাসের মত একটি ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণভাবে করোনা ভাইরাস নয়।
মেলবোর্নের একটি ল্যাবে নতুন ভাইরাসটি আবিষ্কার করা হয়েছে। আবিষ্কার করা ভাইরাসটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানান, সংক্রামিত রোগীর কাছ থেকে ভাইরাসটির অনুলিপি নিয়ে ভাইরাসটি আবিষ্কার করা হয়েছে। আর গত শুক্রবার তাদের কাছে এ নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পিটার ডোহার্টি ইন্সটিটিউট ফর ইনফেকশন এন্ড ইমিউনিটি'র বিজ্ঞানী ড. মাইক কেট্টন বলেন, আমরা এই ধরণের ঘটনার কথা চিন্তা বহু বছর ধরে পরিকল্পনা করে আসছি। যার কারণে এত দ্রুত উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছি।
ড. কেট্টন আরও বলেন, নতুন অ্যান্টিবডি দ্বারা সন্দেহভাজন রোগীদের শনাক্ত করা সহজ হবে। এছাড়া ভাইরাসটি কি পরিমাণে ছড়িয়েছে পড়েছে এবং কোন জিনিসগুলোর মধ্যে এটি রয়েছে তার একটি সঠিক চিত্র সংগ্রহ করতে পারব।
এদিকে নতুন ভাইরাসটি চিকিৎসার জন্য গেম চেঞ্জার হবে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা। নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাসের ফলে করোনা আক্রান্তদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত ও আক্রান্ত যাদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়না তাদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, এটি একটি সাধারণ ফ্লু'র মত। তবে এটি ইনকিউবেশন পিরিয়ডে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, লক্ষণ প্রকাশের আগে এটি সংক্রামক কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ইনকিউবেশন পিরিয়ড ২ থেকে ১০ দিনে হতে পারে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গেছে ১৩২ জন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ছয় হাজারের অধিক মানুষ। এছাড়া চীনের বাইরে ১৬টি দেশে ৪৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে।