চীনে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। সর্বশেষ সপ্তাহে তিনগুণ বেড়েছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহান শহর থেকে অন্যসব শহরে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে।
গত দুদিনে ভাইরাসটি দ্বারা নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৯ জন। এর মধ্যে উহানে ১৩৬ জন, বেইজিংয়ে দুই এবং শেনজেনে একজন রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে।
এপর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে এবং তিনজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যুক্তরাজ্যের গবেষকরা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে জানায়, প্রায় ১৭০০ জনের মত মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
উহান সরকারি কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার পর্যন্ত শহরটিতে ১৭০জন আক্রান্তকে রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বেইজিংয়ের ড্যাক্সিং জেলার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, উহান ভ্রমণ করেছে এমন দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করা হয়েছে।
চীনা নববর্ষের ছুটিতে দেশটির নাগরিকরা ভ্রমণে বের হন। যার ফলে এটি তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগে থাইল্যান্ড ও জাপানেও রোগী চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, তারা চীনে ভ্রমণ বা বাণিজ্যের জন্য বিধি নিষেধ এখনো দেওয়া হয়নি। তবে তারা আক্রান্ত রোগীদের গাইডেন্স দিচ্ছেন।
এ অবস্থায় সিঙ্গাপুর, হংকং এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উহান শহরে করোনা ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। তারা বলছেন, এটি নিউমোনিয়ার মত, তবে এটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় বাজার থেকে এটি উদ্ভব হয়েছে। তবে কতটুকু ছড়িয়েছে তা এখনো নির্দিষ্ট করতে পারেনি দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা।
নতুন এই করোনা ভাইরাসটি ২০০০ সালের সার্স ভাইরাসের স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ওই সময় সার্স ভাইরাসের ফলে প্রায় ডজন খানেক শহরে ৭৭৪ জন মারা যান। করোনা ভাইরাসের জিনগত কোড বিশ্লেষণে দেখা যায় এটি সার্সের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।