ভয়াবহ তাপমাত্রায় পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড ভঙ্গকারী এ তাপমাত্রার ফলে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসে সাত দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধানমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান এ ঘোষণা দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় ৭ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের পরবর্তী কয়েক দিনের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হল তীব্র বাতাস ও গরম তাপদাহ।
বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীতে উঠে। এছাড়া দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আগেই জানানো হয়েছে উত্তাপের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। সর্বশেষ দুই মাসের মধ্যে এটি নিউ সাউথ ওয়েলস দ্বিতীয় জরুরি অবস্থা।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিনে দেশটির তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর মঙ্গলবার দেশটিতে গড় তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৩ সালে দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় তাপদাহকে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ধরা হয়। তাপদাহের ফলে দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।।
আবহাওয়া ব্যুরো (বম) এর মতে, ১৯১০ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর পরবর্তী সপ্তাহে নিউ সাউথ ওয়েলসের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রীতে পৌঁছাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে তারা।
বম সামনের তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং জরুরি পরিষেবাগুলোর পরামর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে দেশটি। সবচেয়ে বেশি দাবানল দেখা গেছে নিউ সাউথ ওয়েলসে। অঞ্চলটির সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা প্রায় ১০০টিরও বেশি দাবানলের সঙ্গে লড়াই করেছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরে চলমান দাবানলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দাবানলে মারা গেছে প্রায় ছয়জন। এছাড়া পুড়ে গেছে কয়েকশ ঘরবাড়ি। আর ধ্বংস হয়েছে কয়েক লাখ হেক্টর জমি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় উষ্ণতম দিনের রেকর্ড