রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারকে প্রতিনিধিত্ব করতে অং সান সুচি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে সফরে আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নেপিডোতে বৈঠক করেছেন।
মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু চির আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে মিয়ানমারে গেছেন।
নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আগামী সপ্তাহে সুচির যাওয়ার ঠিক আগে এই সফরটি উল্লেখযোগ্য।
ধারণা করা হচ্ছে, হেগে আসন্ন শুনানি নিয়ে সুচির সঙ্গে আলোচনা করতেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফর। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা ভূমিকা পালন করেছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বলেন, অং সান সু চির আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং, ৭-৮ ডিসেম্বর নেপিডো সফর করবেন।
তবে মুখপাত্র এ কর্মসূচি বা এই সফরের কারণ সম্পর্কে বিশদ উল্লেখ করেননি। কূটনীতিক বিশ্লেষক ইউ মং মং সো বলেছেন, যখন রোহিঙ্গা ইস্যুর কথা আসে, চীন সর্বদা মিয়ানমারের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রদর্শন করেছে। "মিয়ানমার কীভাবে মামলা মোকদ্দমার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে তা চীনের সঙ্গে আলোচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং চীন সম্ভবত মিয়ানমারকে শুনানির জন্য কিছু টিপস দেবে।
তিনি আরও বলেন, চীন মিয়ানমারকে সমস্যায় পড়তে দেখতে চায় না, কারণ দেশটি কৌশলগত ও ভৌগলিকভাবে চীনের এজেন্ডা এবং অঞ্চলে এর প্রভাবের ক্ষেত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলের বেইজিংয়ের স্থায়ী আসন এবং এর ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা মিয়ানমারের পক্ষে একটি মূল্যবান মিত্র হিসেবে পরিণত করেছে। কারণ মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার বিশ্বে চরম জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয়েছে। এদিকে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) হাজার হাজার মানুষ মিয়ানমারে অং সান সুচির সমর্থনে সমাবেশ করেছে।