কানাডা-ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের মিয়ানমার ভ্রমণে সতর্কতা

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 10:17:55

যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের মিয়ানমারে সম্ভাব্য সহিংস হামলায় সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশটিতে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশগুলো এ বার্তা দেয়। তারও আগে ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের মিয়ানমারে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে।

ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাস একটি প্রাথমিক সতর্কবার্তায় বলেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সম্ভাব্য হামলার খবর তদন্ত করছে। সামনের কয়েক মাসে হামলা আরো বাড়তে পারে দেশের তিনটি বৃহত্তম শহর নেপোডি, ইয়াঙ্গুন এবং মান্ডালে।
কখন আক্রমণ হতে পারে তার কোনও বিবরণ বা কোনও ব্যাখ্যা ছিল না।

কানাডা এবং ব্রিটিশ পরামর্শে উল্লেখ করেছে, সম্ভাব্য আক্রমণগুলোতে বোমা মারা হতে পারে।

মিয়ানমার সরকার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। ব্রিটেনের বিদেশ ও কমনওয়েলথ অফিসের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখনই নির্দিষ্ট করে কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না। মিয়ানমারের কোথাও ভ্রমণ করার সময় আপনাদের সর্বশেষ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা উচিত, সতর্ক থাকুন, বুদ্ধি খাটিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। বিশাল বিক্ষোভ বা সমাবেশ এড়িয়ে চলুন এবং স্থানীয় সুরক্ষা বাহিনীর পরামর্শ অনুসরণ করুন।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমার সরকার দেশজুড়ে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে অসংখ্য সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত হয়ে পরে। সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে তা'আং জাতীয় মুক্তি বাহিনী, মিয়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সেনা, আরাকান সেনা এবং কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি উত্তর জোট নামে চারটি দল জোটবদ্ধ হয়েছে।

১৫ আগস্ট উত্তর মৈত্রীর বাহিনী, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি, মান্ডলের নিকটবর্তী লশিও, ন্যাংহকিয়ো এবং পাইয়ন ওউ লুইনে সামরিক লক্ষ্য এবং বেসামরিক কাঠামোর ওপর সমন্বিত আক্রমণ চালানোর পরে সাম্প্রতিক এ যুদ্ধ শুরু হয়।

এ সশস্ত্র জোটটি ১৫ আগস্ট আর্মি একাডেমিসহ ছয়টি স্থানে সমন্বিত হামলা চালায়। এর ফলে ১৫ জন নিহত হন। এর পরেই লাগাতার সেনা ও বিদ্রোহী জোটের আরো সংঘর্ষের খবর মিয়ানমার মিডিয়া জানিয়েছে।

শান স্টেটের ন্যাংচো জনপদের কাছে পাইয়ন ও লুইন অঞ্চলে ডিফেন্স সার্ভিসেস টেকনোলজিক্যাল একাডেমিসহ বিদ্রোহী জোটটি ছয়টি ভিন্ন এলাকায় হামলা পরিচালনা করার পর এ সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে।

এ হামলায় স্থানীয় ব্রিজের একটি প্রহরী চৌকিতে সাতজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন, যা চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী চীন সীমান্তের নিকটবর্তী কুতকাই শহরের কাছে এবং উত্তর-পূর্ব ল্যাসিও জনপদ জুড়ে পাল্টা লড়াই শুরু করে। সংঘর্ষ এলাকাটির প্রধান হাইওয়ে জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

বিদ্রোহী জোট বলেছে যে তারা আত্মরক্ষার জন্য এসব আক্রমণ শুরু করেছিল, কারণ মিয়ানমার সেনাবাহিনী যেসব অঞ্চলে সংখ্যালঘুরা বাস করে, সেখানে আক্রমণাত্মক অভিযান বন্ধ করেনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর