কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। মসজিদে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের। তারপর থেকেই পুরো নিউজিল্যান্ডবাসীই পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশে।
তারই ধারাবাহিকতায় দেশটির সরকার নিউজিল্যান্ডে এ হামলায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যদের পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্স বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই হামলায় আহত বা নিহতদের বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তানরা পাবেন এই সুবিধা।
নিহত কোনো ব্যক্তির নাতি বা নাতনীও এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স থাকতে হবে ২৫ বছরের নিচে।
বিশেষ সুবিধায় এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এটি করতে হবে আগামী দুই বছরের মধ্যেই।
নিউজিল্যান্ডের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠী। নিউজিল্যান্ডের ফেডারেশন অব ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা মারুক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, 'এই সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত খুশি। এই হামলায় পরিবারের স্বজনরা যে শুধু ভালোবাসার মানুষকেই হারিয়েছেন তা নয়, পরিবার পরিচালনার মূল সদস্যকেও হারিয়েছেন।'
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় নিহত হয় ৫০ জন। এছাড়া আহত হয় আরও অর্ধ-শতাধিক। হামলাকারী ব্রেন্টন টারান্ট এ হামলা চালায়।