নয়াদিল্লি থেকে: লোকসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অলআউট প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সন্ত্রাস মোকাবিলা, পাকিস্তানকে সামলানো ও জাতীয়তাবাদকে এ নির্বাচনে প্রচারণার হাতিয়ার করেছেন তিনি।
রাজনীতিতে এরকম আক্রমণাত্মক প্রচারণা নতুন নয়। আর ভারতের ভোটাররা মোদির এ আক্রমণাত্মক প্রচারণা ভালোই উপভোগ করছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে গুজরাটে এক জনসভা করেন মোদি।
জনসভায় তিনি বলেন, 'যদি পাকিস্তান ভারতের পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে না দিত তাহলে সেদিন হত, 'কাতাল কি রাত'।' সে সময় মার্কিন এক কর্মকর্তা দাবি করেছিল যদি ভারতীয় পাইলটকে ছাড়া না হয় তাহলে মোদি ১২টি মিসাইল প্রস্তুত রেখেছে পাকিস্তানের দিকে মুখ করে।
মার্কিন কর্মকর্তার প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, 'পাইলট ফিরে না এলে ভারত প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত ছিল। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দনকে ফেরত পাঠানো না হলে পাকিস্তানকে ফল ভোগ করতে হত।'
মোদি বলেন, 'পাকিস্তানকে সতর্ক করছি, আমাদের পাইলটের সাথে যদি কিছু ঘটে তবে মোদি যদি কিছু করে তবে কারো কিছু বলার থাকবে না। এর পরেই পাইলটের মুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ভূমিকা নেন।'
পাকিস্তানে আক্রমণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'আমেরিকা বলেছে, আমার এখন এই সম্পর্কে কিছু বলার কিছু নেই, সময় আসার পর আমি এটি সম্পর্কে কথা বলব।'
এর আগে রাজস্থানে মোদি এক নির্বাচনী জনসভায় শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে বলেন, 'শ্রীলঙ্কান গির্জা ও বিলাসবহুল হোটেলে মারাত্মক বোমা হামলার নিন্দা জানাই।'
এরপর সন্ত্রাস নির্মূলে নির্বাচনে তাকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জনসভায় প্রশ্ন তুলে বলেন,'সন্ত্রাসবাদ কি শেষ হবে? কে এটা করতে পারে? আপনি কি মোদি থেকে অন্য কোন নাম নিয়ে চিন্তা করতে পারেন? অন্য কেউ এটা করতে পারে?'
আরেক জনসভায় তিনি বলেন, 'মোদি শুধু মারে না। সন্ত্রাসীদের তাদের ঘরে ঢুকে কতল করে আসে।'
মোদি আরও বলেন, 'পাকিস্তান বলে তাদের কাছে পারমাণবিক বোমা আছে। তাহলে আমাদের কাছে কি আছে? আমরা কি আমাদের পারমাণবিক বোমাগুলো দীপাবলিতে ফুটানোর জন্য রেখেছি।'