ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমর্থন ছাড়া তৃতীয় জোটের পক্ষে দেশটির লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ সম্ভব নয়। খোদ দেশটির তৃতীয় জোটের নেতারা এমন চিন্তা করছেন।
রোববার (৭ এপ্রিল) দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্র বাবু নাইড়ুর ছেলে নারা লোকেশ রাজ্যটির মঙ্গলাগিরিতে এক সভায় বলেন, কংগ্রেস বা বিজেপির সমর্থন ছাড়া তৃতীয় জোটের পক্ষে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে জেতা সম্ভব নয়।
জাতীয় স্তরে আঞ্চলিক দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও প্রত্যেক জোটের মধ্যে কংগ্রেস বা বিজেপিকে রাখতে হয়েছে। তার মতে কংগ্রেস বা বিজেপিকে বাদ দিয়ে বিকল্প জোট গঠন করা অসম্ভব।
নারা লোকেশের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় মহাজোট কোথাও গড়ে ওঠেনি। তবে বিভিন্ন রাজ্যে সংশ্লিষ্ট দলগুলো নিজেদের মধ্যে জোট গড়ে লড়ছে।
কংগ্রেস তামিলনাড়ুতে ডিএমকে -এর সঙ্গে জোট করেছে। বিহারে লালু প্রসাদের দল আরজেডি উপেন্দ্র কুশওয়ারের দল আরএলএসপির সঙ্গে জোট বেধেছে।
কর্ণাটকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেব গৌড়ার পার্টি জেডিএস কংগ্রেসের সঙ্গে করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে ফারুক আব্দুল্লাহর দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির সঙ্গে। উত্তর প্রদেশে দুটি প্রধান বিরোধী দল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতী বহুজন সমাজ পার্টি হাত মিলিয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরএলডি। এ রাজ্যে কংগ্রেস একা লড়ছে। রাহুল গান্ধীর আসন অমেঠি ও সোনিয়া গান্ধির আসন রায়বেরিলিতে প্রার্থী দেয়নি অখিলেশ মায়াবতীর জোট।
কংগ্রেসও সেই জোটের প্রধান সাত নেতার আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। এ রাজ্যে বারানসি লোকসভা আসনে বিজিপি প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উত্তর প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি, ৮২টি লোকসভার আসন রয়েছে। দিল্লির ক্ষমতার পথ উত্তর প্রদেশ ঘুরে আসে বলে ধরা হয়।
এদিকে নরেন্দ্র মোদি পশ্চিম বাংলার কোচবিহারে রোববার (৭ এপ্রিল) এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রচণ্ড সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উন্নয়ন গতিরোধক মমতা। দিদি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে ভিত হয়ে পড়েছেন। মমতা জনগণের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।
মোদি বলেন, "মোদি মোদি রব, মমতার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।"
Saradha.
— Chowkidar Narendra Modi (@narendramodi) April 7, 2019
Narada.
Rose Valley.
These scams are examples of the reign of loot under TMC.
Money belonging to the poor is snatched by TMC leaders.
Once BJP comes to power in Bengal, such corruption will be history. pic.twitter.com/gqU4Elbghe
পশ্চিমবঙ্গকে মমতা ও তার দলের কবল থেকে মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মোদি।
অন্যদিকে, মমতা ব্যানার্জি কোচবিহারে এক জনসভায় বলেছেন, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মোদিকে এ রাজ্যে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেব না। গত বছর আসামে ৪০ লাখ ভারতীয়কে নাগরিকপঞ্জিতে নাম ওঠানো হয়নি।
তিনি বলেন, তাদেরকে মোদি সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলছে। আমরা সেটা মানি না। এ রাজ্যে হাত দিয়ে দেখুক যে ছাউনির তলায় সভা করেছেন তার তলে ঢুকিয়ে দেব। মোদিবাবু প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ পাঁচ বছরে কি করছেন? আগে ছিলেন চাওয়ালা, এখন হয়েছে চৌকিদার। দেশের মানুষ এখন বলছে চৌকিদার পালিয়ে গেছে।এমন নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী আগে দেখিনি।