দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওলের অফিসে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টার তদন্তের অংশ হিসেবে এ অভিযান বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সামরিক আইন জারির চেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত নথি–প্রমাণ জোগাড়ের জন্য এই তল্লাশি বলে জানা গেছে।
এদিকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কারাগারে বন্দি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।
কোরিয়া কারাগার পরিষেবার কমিশনার জেনারেল শিন ইয়ং-হায় সংসদে জানান, কিম আত্মহত্যার চেষ্টা করলে কারা কর্মকর্তারা তা প্রতিহত করেন এবং বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট কিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত জানায়, অভিযোগের ভিত্তি, অপরাধের গুরুতরতা এবং প্রমাণ নষ্টের শঙ্কা বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট কিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত জানায়, অভিযোগের ভিত্তি, অপরাধের গুরুতরতা এবং প্রমাণ নষ্টের শঙ্কা বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির কমিশনার জেনারেল চো জি-হো এবং সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সির প্রধান কিম বং-সিককেও বিদ্রোহের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তবে, পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার না করা হলে মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রথম প্রচেষ্টা ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির সদস্যদের ভোট বয়কটের কারণে ব্যর্থ হয়।
অভিশংসন সফল হলে, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অস্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। পরে সাংবিধানিক আদালত ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করার বা ক্ষমতা পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেবে।