ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্রের প্ল্যান্টে হামলা করেছিল ইসরায়েল!

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-11-16 13:02:54

চলতি বছরের ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, এয়ারফোর্স বেস এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর ভবনের ওপর হামলা করেছিল ইরান।

এ হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে ২৬ অক্টোবর ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার ওপর হামলা করে ইসরায়েল। এর মধ্যে পরিত্যক্ত পারমাণিক কর্মসূচির স্থাপনার ওপরও ইসরায়েল হামলা করেছিল বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় উঠে আসা সংবাদমাধ্যম ‘এক্সিওস’-এ ভিন্ন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এক্সিওস-এর বরাত দিয়ে শনিবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাম, ইসরায়েলের টাইমস অব ইসরায়েলসহ আরো বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল পরিত্যক্ত পারমাণবিক কর্মসূচির স্থাপনার ওপর হামলা করেছিল, সেটি আসলে গোপনে পরিচালিত পারমাণবিক অস্ত্রের ডিজাইনের কাজে ব্যবহৃত করা হতো।

খবরে বলা হয়, এক্সিওস-এ প্রকাশিত সংবাদে ৩ জন মার্কিন ও ২ জন ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বর্তমানে কর্মরত গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছেন।

পারমাণবিক কেন্দ্রের ভেতরে কর্মরত ইরানের কর্মকর্তা 

এক্সিওস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) প্রধান ইরানে সেই স্থাপনা পরিদর্শন করার পর জানিয়েছেন, ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করেনি।

এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের পরচিনে অবস্থিত সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্রের গবেষণা কেন্দ্র ইসরায়েল ২৬ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। এসময় ইসরায়েলের অনেক ফাইটার জেট হামলায় অংশ নেয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওয়াচডগ এ বিষয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, জাতিসংঘের ওয়াচডগের পরিদর্শক দলের প্রতিনিধিদের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা পরির্দশন করার অনুমতি দেয়নি ইরান। 

এক্সিওস জানায়, পরচিন-এর পারমাণবিক কেন্দ্রে উন্নতমানের ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়ার ডিভাইসকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরকের ডিজাইনের বিষয়ে গবেষণা কাজ পরিচালনা করা হতো।

এ বিষয়ে ইসরায়েলের দুইজন গোয়ন্দা কর্মকর্তা অক্সিওসকে জানান, ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়ার পর সেখানে নতুন করে পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি করা ইরানের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যাবে।

তারা জানান, এরপর ইরান যদি ফের তা কেনার চেষ্টা করে, তাহলে তারা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।

তারা আরো জানান, ইরানের ‘টেলিঘান-২-এর স্যাটেলাইট চিত্র পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা সে স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ২০০৩ সালে পরিত্যক্ত বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল ইরান।

এ বিষয়ে মার্কিন ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, টেলিঘান-২ কেন্দ্রে কম্পিউটারে মডেলিং তৈরি করার কাজের পাশাপাশি বিস্ফোরক বিষয়েও গবেষণা করা হতো। তারমানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের ডিভাইস তৈরি করতো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর