ওভাল অফিসের ‘চিফ অব স্টাফ’ পদে সুসি ওয়াইলসের পরে এবার জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত পদে এলিস স্টেফানিককে মনোনীত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রেও নারীকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
স্টেফানিককে জাতিসংঘে পাঠানোর কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমার পরবর্তী প্রশাসনে জাতিসংঘে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এলিস একজন অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, অনমনীয় এবং চৌকস আমেরিকান। তিনি প্রথমসারির যোদ্ধা।
আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য ৪০ বছরের এলিসের ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। তাকে জাতিসংঘে আমেরিকার প্রতিনিধি নিয়োগ করা ট্রাম্পের ‘তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মনে করছে রিপাবলিকান পার্টির একাংশ।
গত রোববার এলিসের পাশাপাশি টম হোমাননে আমেরিকার সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
জাতিসংঘের বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ডের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন স্টেফানিক। তিনি বলেন, ট্রাম্প তাকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত করায় তিনি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এখন তিনি তার সিনেটের সহকর্মীদের সমর্থন পাওয়ার আশায় আছেন। কারণ, আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদে নিয়োগ পেতে তাকে সিনেটরদের সর্বোচ্চ ভোট পেতে হবে।