গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এ অঞ্চলের মানবতার প্রশ্নে বিশ্ব যেন এক নিস্তব্ধ ভূমিকা পালন করছে। এখানকার শরণার্থী শিবিরগুলোও নিরাপদ নয়। সেখানেও হামলা চালানো হচ্ছে।
নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি 'আল-মাওয়াসি'তে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজার নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি 'আল-মাওয়াসি' লক্ষ্য করে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা আগে নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ছিলো। সেখানে বাহিনীটি নতুন করে স্থল আক্রমণ শুরু করায় তারা এই অঞ্চলে চলে আসে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এতে করে ফিলিস্তিনিদের নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৬০৩ জনে দাড়িঁয়েছে। আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৯২৯ জন।
এদিকে গত রোববার, গাজার উত্তরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ'র) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
তিনি জানান, অঞ্চলটিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। এই অঞ্চলে গড়ে প্রতিদিন ৩০ ট্রাক খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যা বাসিন্দাদের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। এই পরিমাণ ত্রাণ দৈনিক চাহিদার মাত্র ৬ শতাংশের বেশি। ইসরায়েল তাদেরকে খাদ্যসহ মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত করছে। ত্রাণ কার্যক্রমে তারা বাধা দিচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে গাজার মানুষের "ভয়াবহ বাস্তবতা" উন্মোচিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘ বলছে, প্রতিনিয়ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নারী ও শিশু নিহত হচ্ছে। পুরুষও বাদ যাচ্ছে না। শুধু তাই নয় তারা ত্রাণ কার্যক্রম চালাতেও সেখানে বাধা দিচ্ছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহেও বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অঞ্চটির মানুষ চরম হুমকির মুখে পড়বে।