ভোট শেষ হলে যেন ঘুম না ভাঙে, আহ্বান কমলার, ট্রাম্পামেনিয়াকের ডাক হাল্কের

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-10-28 10:04:14

রোববার রাতে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন গার্ডেনে ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তৃতা। তবে সেটি আসলে পরিণত হয়েছিল বড় বড় চেনামুখের এক মঞ্চে। ওহাইও'র সেনেটর জেডি ভেন্স, স্পিকার মাইক জনসন, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র ও ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গিলিয়ানি, সাবেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র, ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়ার, বিলিয়নিয়ার এলন মাস্ক আর সাবেক ফক্স নিউজ হোস্ট টাকার কার্লসন ছিলেন মঞ্চে।

ট্রাম্প যখন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের এই র‌্যালি নিয়ে ব্যস্ত তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও রানিং মেট টিম ওয়ালস মিনেসোটায় ব্যস্তসময় কাটিয়েছেন। পরে সেখান থেকে ছুটে যান ফিলডেলফিয়ায়। কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়ালস দুজনই নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনগুলোতে বেশি সময় কাটাচ্ছেন সুইং স্টেটগুলোতে। সোমবার তারা দুজনই যাবেন উইসকনসিন ও মিশিগানে।

এদিকে ভোটের মাঠে বেশ সময় দিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও। গোটা শনিবার মিশিগানে কমলা হ্যারিসের পক্ষে ক্যাম্পেইন চালিয়েছেন মিশেল ওবামা।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট- ওহাইওর সেনেটর জেডি ভেন্স ম্যাডিসন স্কয়ারে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে বলেন, কমলা কখনোই কোনো ম্যাকোডোনাল্ড'সে কাজ করেননি, বরং তার চেয়ে বেশি সময় ধরেই ম্যাকোডোনাল্ড'সে কাজ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই জনসভায় যোগ দেন নহলিউড তারকা হাল্ক হোগান। এসময় তিনি তার ফ্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন- তাদের হাল্কামেনিয়াক থেকে ট্রাম্পামেনিয়াকে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানান। সাবেক ইউএস রিপাবলিকান তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়া মানেই পরমানু যুদ্ধের পক্ষেই ভোট দেওয়া।

পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় এক সভায় বক্তব্য রাখেন কমলা হ্যারিস। এসময় তিনি সকলের ভোটে অংশ নেওয়াটাই কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভোট শেষ হয়ে গেলে যেন আমাদের ঘুম না ভাঙে। আর এই নিয়ে আফসোস না হয়। ভোটের আগে আরও ৯ দিন বাকি আছে। এই নয় দিনে আমরা যতটুকু যা পারি তা যেন পুরোপুরি করার চেষ্টা করি।

কমলা হ্যারিসের স্বামী ডাগ এমহফ জর্জিয়ায় তার বক্তৃতায় বলেন, সকলের মনে রাখতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প কারো বন্ধু হতে পারেন না।

অন্যদিকে ম্যাডিসন গার্ডেনে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রাম্পের সিনিয়র অ্যাডভাইজর স্টেফেন মিলার। মিলারকেই মনে করা হয়, ট্রাম্পের অভিবাসন এজেন্ডার মূল আর্কিটেক্ট। এখানেও তারই প্রতিফলন শোনা যায়- যখন তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসীরাই যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকানদের জীবন নষ্ট করেছে।

নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাটর্নি রুডি গিলিয়ানি মঞ্চে উঠে সেই পুরোনো কন্সপিরেসি থিওরি ও মিশন ইনফরমেশনের কথা বলেন। নিউইয়র্ক ইয়াংকিদের কথা আর নাইন-ইলেভেনের কথা তুলতে তিনি মোটেও সময় নেননি এই বক্তৃতায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর