কাতারের রাজধানী দোহায় গাজায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)। এদিকে, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, হামাস এই আলোচনায় অংশ নেবে না।
হামাসের দাবি ছিল, চলতি বছরের ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন, তার ভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হোক। নতুন করে আর কোনো আলোচনার দরকার নেই।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিবিসি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
হামাসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে হামাস যোগদান করবে না।
এর আগে ৯ আগস্ট (শুক্রবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর এক যৌথ বিবৃতিতে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতি দেয়।
এ বিবৃতিতে বলা হয়, গাজার মানুষ অনেকদিন ধরে যে চরম ভোগান্তি ভোগ করছেন, তার অবসান হওয়া উচিত এবং সেইসঙ্গে উভয়পক্ষের (হামাস এবং ইসরায়েল) হাতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। এখন সময় যুদ্ধবিরতির এবং বন্দি বিনিময় করা।
যুদ্ধবিরতির এ আহ্বানে সই করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি এবং কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এরপর ১২ আগস্ট (সোমবার) জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য নতুন করে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে ইউরোপীয়ান নেতারা বলেন, এখনই যুদ্ধ শেষ হতে হবে এবং সেইসঙ্গে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া দুর্গত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই তিন দেশের নেতারা সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। এ সময় তারা ১০ মাসব্যাপী ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধের অবসানেরও দাবি জানান।
এছাড়া ইসরায়েল এবং হামাসের কাছে আটক বন্দি বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন তারা। সেইসঙ্গে গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এই নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি টেলিফোনে কথা বলেন।
এসময় তারা বলেন, যুদ্ধবিরতিতে না-পৌঁছানো পর্যন্ত যেন কোনো পক্ষই কোনো ধরনের হামলায় না জড়ায়।
এছাড়াও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ব্লিনকেন পৃথকভাবে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলার্টির সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেছেন।
বুধবারই হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, বৃহস্পতিবার কাতারের রাজধানী দোহায় যে যুদ্ধবিরতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সে বৈঠকে হামাসের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেবেন না।
তিনি বলেন, জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি চাই।