যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে অস্ত্র স্থাপনের চেষ্টা করছে বলে মঙ্গলবার (২১ মে) অভিযোগ করেছে রাশিয়া।
মহাকাশে অস্ত্রের বিস্তারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে জাতিসংঘে মস্কোর আনীত প্রস্তাবে ওয়াশিংটন ভেটো দেওয়ার পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই অভিযোগ করেন।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবারও প্রমাণ করেছে যে, মহাকাশের ক্ষেত্রে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য মহাকাশকে অস্ত্র মুক্ত রাখা নয়, বরং মহাকাশে অস্ত্র স্থাপন করা এবং এটিকে সামরিক সংঘর্ষের আখড়ায় পরিণত করা।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, এই দুই পরাশক্তি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহাকাশে অস্ত্র স্থাপনের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে।
গত ফেব্রুয়ারীতে ওয়াশিংটন বলেছিল যে, তারা রাশিয়ার তৈরি করা একটি স্যাটেলাইট-বিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তখন মার্কিন মিডিয়াগুলো জানিয়েছিল যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের মিত্রদের সতর্ক করেছে যে, রাশিয়া মহাকাশের কক্ষপথে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে পারে।
জবাবে মস্কো এই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছিল যে, তাদের কেনো স্যাটেলাইটে এই ধরনের কোনো সিস্টেম নেই।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনলো রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ওয়াশিংটন মহাকাশে অস্ত্রের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আগ্রহী নয়।
এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রস্তাব, যা সমস্ত দেশকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে মহাকাশে সর্বদা অস্ত্র স্থাপন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানায়, সেটি আসলে একটি বিভ্রান্তি।’
জাখারোভা মঙ্গলবার বলেন, ‘বাহ্যিক মহাকাশকে যেকোনো ধরণের অস্ত্র মুক্ত রাখতে এবং এটিকে উত্তেজনা ও সশস্ত্র সংঘর্ষের আরেকটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে বাধা দেওয়ার জন্য চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।’
উল্লেখ্য, মহাকাশই হলো একমাত্র স্থান যেখানে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এখনও সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।
উভয় দেশ একে অপরের ক্রু সদস্যদেরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের মহাকাশচারীরা যৌথভাবে অবস্থান করে।