জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বুধবার (৬ মার্চ) সতর্ক করে বলেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের মধ্যে প্রায় ১১ মাসের যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খাদ্য সংকটের ঝুঁকির মুখোমুখি হবে সুদান।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধে দেশটির হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ওই যুদ্ধ দেশটির ব্যাপক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে এবং পঙ্গু করেছে সুদানের অর্থনীতিকে।
ওই যুদ্ধ দেশটির ৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। দুই জেনারেলের যুদ্ধ দেশটিকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকটে পরিণত করেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, ‘এখন লাখ লাখ জীবন এবং সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
তিনি সুদানের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ বছর আগে দারফুরে ছিল বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সংকট এবং সেজন্য বিশ্বের সাড়া জাগাতে সমাবেশও করেছিল তারা। কিন্তু, আজ সুদানের মানুষ সবকিছু ভুলে গেছে।’
আরএসএফ নিজেরাই জানজাউইদ মিলিশিয়ার বংশধর, যাকে সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দারফুরে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন।
বর্তমান যুদ্ধে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যে পাঠাতে বাধা ও ত্রাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, ‘সুদানের জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিদিন এক বেলা খেতে পায়।’
জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, ‘সুদান থেকে পালিয়ে গিয়ে যে, ৬ লাখ মানুষ দক্ষিণ সুদানের জনাকীর্ণ ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে পরিবারগুলো আরও মারাত্বক ক্ষুধায় ভূগছে।’
এতে বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। সুদানজুড়ে ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হচ্ছে।