লুটপাট ও দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে সৃষ্ট দাঙ্গায় ১৫ জন নিহত হওয়ার পরে পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানীতে ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পোর্ট মোরসবিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে যখন একদল সেনা, পুলিশ অফিসার এবং কারারক্ষীরা তাদের বেতনের অব্যক্ত কর্তন নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
কয়েক ঘন্টার মধ্যে অস্থিরতা রাজধানীর উত্তরে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে লা শহরেও ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে ঘোষণা করেছেন, ‘আজ আমরা আমাদের দেশের রাজধানীতে ১৪ দিনের জন্য জরুরি অবস্থার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় ১০০০ জনেরও বেশি সেনা স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।’
দেশটির পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং বলেছেন, পোর্ট মোরসবি এবং লে-তে অস্থিরতায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পোর্ট মোরেসবির সবচেয়ে বড় হাসপাতালে গুলিতে আহত ২৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রাজধানীতে লুটেরারা ভাঙা কাঁচের জানালা দিয়ে দোকানে ঢুকছে, চুরি হওয়া জিনিসপত্র কার্ডবোর্ডের বাক্সে, শপিং ট্রলিতে এবং প্লাস্টিকের বালতিতে ভরছে।
একজনকে তার কাঁধে পুরো বুকের ফ্রিজার টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
পোর্ট মোরেসবিতে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘পুলিশ লুটেরাদের দলকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করার সময় তার কম্পাউন্ডের কাছে গুলি চালানো হয়েছে।’
বেইজিং পাপুয়া নিউ গিনির সরকারের কাছে অভিযোগ করেছে, দাঙ্গাকারীরা চীনা মালিকানাধীন ব্যবসাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সহিংসতায় দুই চীনা নাগরিক হালকা আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘আমরা পিএনজিতে থাকা চীনা নাগরিকদের মাটিতে পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রতি গভীর মনোযোগ দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’