আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ইকোওয়াস কর্তৃক নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে সতর্ক করেছে রাশিয়া।
বিবিসি জানিয়েছে, মস্কো এক সতর্ক বার্তায় বলেছে, নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ আফ্রিকাকে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের দিকে পরিচালিত করবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ধরনের হস্তক্ষেপ সাহেল অঞ্চলকে সামগ্রিকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
নীতিগতভাবে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থান সমর্থন করে না।
কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নাইজারে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনার।
নাইজারে শুক্রবার (১১ আগস্ট) অভ্যুত্থানের সমর্থকরা রাশিয়ার পতাকা নেড়ে রাজধানী নিয়ামের কাছে একটি ফরাসি সামরিক ঘাঁটির সামনে প্রতিবাদ জানায়।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র-উভয়ই নাইজারে সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে এবং বিস্তৃত অঞ্চলে জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে ওই ঘাঁটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইকোওয়াসভুক্ত দেশগুলোর সামরিক কর্মকর্তারা সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে শনিবার (১২ আগস্ট) বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে।
ব্লকটি বলেছে, সঙ্কটের একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বলেছেন, শনিবারের ওই বৈঠকে শেষ অবলম্বন হিসাবে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে ইকোয়াসের সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করেনি। তবে জান্তাকে একপাশে সরে যেতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক সংবিধান পুনরুদ্ধারের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
ইকোওয়াস নেতাদের সর্বশেষ বিবৃতির কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি নাইজারের জান্তা সরকার।
এদিকে, গত ২৬ জুলাই সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে বন্দী বাজুমের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, বাজুম এবং তার পরিবার কয়েক দিন ধরে খাদ্য, বিদ্যুৎ এবং চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
জাতিসংঘের অধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, তিনি বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট পেয়েছেন, বাজুমকে আটকের শর্তগুলো অমানবিক এবং অবমাননাকর।
অধিকার গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, বাজুম এই সপ্তাহে তাদের বলেছেন যে, তিনি এবং তার পরিবারের সঙ্গে অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে।