সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ আরও চারটি দেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার এসব দেশে গম রফতানি পুনরায় শুরু করার কথা বিবেচনা করছে। দেশটির সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট।
এর আগে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ মে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। যার ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইতিমধ্যেই বেড়ে যাওয়া বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম আরও বেড়ে যায়।
তীব্র সংকটে পড়া এবং প্রতিবেশী দেশের জন্য একটি সুযোগ রাখে দেশটি। এ দেশগুলোর সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) বিকল্প পথে গম রফতানির পথ খোলা রাখা হয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভারতের এক কর্মকর্তা বলেন, গম রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন থেকে অনুরোধ এসেছে। এ দেশগুলোর কী পরিমাণ গম দরকার এবং সরকারের হাতে কী পরিমাণ গম মজুদ আছে তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।
ভারত থেকে বাংলাদেশ আরও গম কেনার বিষয়ে আগ্রহী হতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট অথরিটির (এপিইডিএ) চেয়ারম্যান এম আঙ্গামুথু বলেছেন, ভারত তাদের গম সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের অনুরোধ বিবেচনা করছে।
আঙ্গামুথু বলেন, ভারত তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গম রফতানির বিকল্প উন্মুক্ত রেখেছে। তিনি অবশ্য ভারতীয় গম চাইছেন এমন দেশগুলোর নাম বলতে রাজি হননি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, নয়াদিল্লি বাংলাদেশ, ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান থেকে গম সরবরাহের জন্য চিঠি পেয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের অনুমান অনুসারে, ভারত ২০২১-২২ সালে ২ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রেকর্ড ৭ মিলিয়ন টন গম রফতানি করেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশে রফতানি হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ তার বার্ষিক ৮৫ লাখ টন শস্যের চাহিদার ৮৬ শতাংশ পূরণ করতে আমদানির ওপর নির্ভর করে। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক।