মিয়ানমারের সেগুন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করে সামরিকে অর্থায়ন

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 23:33:09

মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারির পরেও দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যবান সেগুন কাঠ (বার্মা টিক) কেনা বন্ধ করেনি। একটি বেসরকারি ওয়াচডগ গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।

এই সেগুন কাঠ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করে সামরিক শাসনে অর্থায়ন করা হচ্ছে। সামরিক দখলের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও মার্কিন কোম্পানিগুলো এখনও মিয়ানমার থেকে মূল্যবান কাঠ কিনছে।

বেসরকারি ওয়াচডগ গ্রুপ জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মার্কিন কোম্পানিগুলো প্রায় ১ হাজার ৬০০ টন কাঠ কিনে নিয়ে গেছে।

গ্রুপটি বলেছে, মার্কিন কোম্পানিগুলো গত বছর দেশটির সামরিক অধিগ্রহণের পর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে সেগুনছাড়াও মূল্যবান কাঠ আমদানি করে চলেছে।

মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ফর মিয়ানমার’ জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও মার্কিন কোম্পানিগুলো সম্প্রতি (ডিসেম্বর) মিয়ানমার থেকে কাঠ আমদানি করেছে। সংগঠনটির গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কোম্পানিগুলো মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে এই গাছগুলো কিনছে।

কাঠগুলো ৮২টি চালানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে। সেগুন কাঠ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজ নির্মাণ, আউটডোর ডেকিং এবং আসবাবপত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়।

মানবাধিকার সংস্থাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে সেগুন ব্যবসার প্রবাহকে আটকানোর জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ এ সেগুন বিক্রির অর্থ মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বের তহবিলে জমা হচ্ছে।

সেগুন কাঠ সম্ভবত চীনের মতো তৃতীয় দেশগুলোর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা হচ্ছে।

২০২১ সালের ২১ এপ্রিলে মার্কিন ট্রেজারি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা মিয়ানমার টিম্বার এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করে। সংস্থাটি মিয়ানমার থেকে কাঠ রফতানি তত্ত্বাবধান করে এবং নিলামের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুনে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কাঠ মিয়ানমারের সবচেয়ে মূল্যবান শিল্প, যা বছরে কোটি কোটি ডলার কর এবং রফতানি রাজস্ব আয় করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর