বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ মালয়েশিয়ান মন্ত্রী!

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 14:57:34

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সম্প্রতি যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, সেটি প্রকাশ করার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা। বিবৃতিতে, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী কবে নাগাদ এই সমঝোতা স্মারক জনসমক্ষে প্রকাশ করবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সমঝোতা স্মারকটি এখনো প্রকাশ না করার বিষয়টিকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এটি মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে মানবাধিকার কর্মীরা।

সম্প্রতি সই হওয়া সমঝোতা স্মারকটি যেমন মালয়েশিয়া সরকার প্রকাশ করেনি, তেমনি প্রকাশ করেনি বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে আলাপ আলোচনা কম হলেও মালয়েশিয়াতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং ব্যক্তিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চুক্তি প্রকাশ না করায়। কারণ দেশটিতে মানবপাচার এবং শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা বারবারই ঘটছে।

যদিও মালয়েশিয়া এখনও ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অন ফোর্সড লেবার (এনএপিএফএল)’ সংশোধন করেনি, এমন অবস্থায় মানবসম্পদ মন্ত্রী সারভানানের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়, বক্তব্যে বোঝা যায় মন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত নন।

মালয়েশিয়ার স্থানীয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া ‍টুডে’তে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে সারভানান বলেছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না, কিছু মানুষ কেন এই চুক্তি সম্পর্কে জানতে এতো আগ্রহী! এর মধ্যে এতো আগ্রহের কি রয়েছে!

বিবৃতিতে বলা হয়, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে এই বার্তা পৌঁছেছে যে এই মন্ত্রী এবং তার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শ্রমিক অভিবাসনের বিষয়ে স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী নয়। ঠিক যেই সময় কিনা মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রম নিয়ে মালয়েশিয়ার দিকে বাকি বিশ্ব আঙুল তুলছে এবং পাম ইন্ড্রাস্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় শ্রমিক নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের ২৫টি এজেন্ট এবং ২৫০ সাব এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিবাসী শ্রমিক অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এন্ডি হল ইতিমধ্যে এই ধরনের প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ বলেছেন এবং এর ফলে শ্রমিকদের ঋণ বেড়ে যাবে এবং শ্রমিক শোষণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, মানবসম্পদ মন্ত্রীর আচরণে মনে হচ্ছে এই চুক্তিটি বেশ গোপনীয় এবং এই চুক্তির বিষয়ে দেশটির ট্রেড ইউনিয়নসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনকে সঙ্গে নেওয়া হয়নি। এছাড়াও এই ধরনের গোপন চুক্তির ফলে ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকদের মতো বাংলাদেশের শ্রমিকদেরও বিপদে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর