ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে, যা এক ডোজ করে নিলেই চলবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) সুপারিশের ভিত্তিতে এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়ে ইউরোপে চারটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চারটি টিকা হলো, ফাইজার–বায়োএনটেকের তৈরি টিকা, মডার্নার টিকা, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ও জনসনের টিকা।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, জনসনের এক ডোজের এই টিকা বেশ নিরাপদ ও কার্যকর।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বাহরাইন জনসনের এক ডোজের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই টিকার পর্যালোচনা করছে।
জনসনের টিকার বিষয়ে ইএমএ নির্বাহী পরিচালক ইমার কুক বলেছেন, ইউরোপে করোনা মোকাবিলায় এবং নাগরিকদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জনসনের টিকা আরও একটি বিকল্প।
ইএমএ জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে ৪৪ হাজার মানুষের ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকাটি কোভিড-১৯ এ মারাত্মক অসুস্থতা থেকে রক্ষায় ৬৬ শতাংশ কার্যকর। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও টিকাটি ৬৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
জেঅ্যান্ডজের টিকাটি ফাইজার ও মর্ডানার টিকার তুলনায় দামে সাশ্রয়ী হবে এবং ফ্রিজারের বদলে সাধারণ ফ্রিজেই এটি সংরক্ষণ করা যাবে।
ট্রায়ালে দেখা গেছে এ টিকাটি গুরুতর অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে পারে। তারপরও সামগ্রিকভাবে টিকাটির কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশ।
বেলজিয়ামের কোম্পানি জনসনের টিকা তৈরি করেছে। কোম্পানিটি জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ডোজ টিকা দিতে সম্মত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডাও জেঅ্যান্ডেজের টিকার জন্য ক্রয়াদেশ দিয়েছে, আর কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠানোর জন্য আরও ৫০ কোটি ডোজের জন্যও ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে।