মেগানের অভিযোগের বিষয়ে নীরব ব্রিটিশ রাজপরিবার!

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 03:52:45

প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ও সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেল বর্ণবাদসহ নানা অভিযোগ করলেও এ বিষয়ে এখনও নীরব রয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জনপ্রিয় মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ‌ উইনফ্রের কাছে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর বৈঠক করেছে রাজ পরিবার। সভায় রাজ পরিবারের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিবিসির রয়েল করেসপন্ডেন্ট ড্যানিয়েলা রেল্ফ এ বিষয়ে বলেছেন, প্রিন্স হ্যারি-মেগান মার্কেলের অভিযোগের বিষয়ে বাকিংহাম প্যালেস মন্তব্য করতে চায় না। তবে গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়েছে, বর্ণবাদের অভিযোগ উঠার পর এর জবাব দিতে রাজপ্রাসাদের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে।

রোববার (০৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে সিবিএস টিভিতে জনপ্রিয় মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। ওই সাক্ষাৎকারে কয়েকশ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে অপ্রিয় কথা বলেন হ্যারি ও মেগান দম্পতি। ‘অপরাহ উইথ মেগান অ্যান্ড হ্যারি: এ সিবিএস প্রাইমটাইম স্পেশাল’ শিরোনামের বিশেষ টিভি শোটি যুক্তরাজ্যের আইটিভিতেও স্থানীয় সময় সোমবার রাতে প্রচার করা হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে বাকিংহাম প্যালেসের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন বলে অভিযাগ করেন মেগান। তার ছেলে আর্চির গায়ের রং কত কালো হতে পারে, সে অনুমান করা থেকে শুরু করে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে কতবার মধ্যাহ্নভোজে গেছেন, সবকিছুতে নাক গলাত রাজ প্রাসাদ।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মেগান জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসহায়তাবোধ এবং হতাশা ক্রমেই গ্রাস করেছিল তাকে, সেসময় আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিলো তার। বারবার সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন মেগান মার্কেল। মেডিক্যাল হেলপ বা চিকিৎসকের পরামর্শ চেয়ে বাকিংহাম প্যালেসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তবে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো এটি সম্ভব নয়। কারণ এতে নাকি রাজপরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।

এই সাক্ষাৎকার প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, তার ও স্ত্রী মেগান মার্কেলের যুক্তরাজ্য ছাড়ার পেছনে ট্যাবলয়েড পত্রিকার বর্ণবাদী আচরণ বড় ভূমিকা রেখেছে। হ্যারির কথায়, যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড গণমাধ্যম সংকীর্ণতাবাদী। ট্যাবলয়েড গণমাধ্যমগুলো ভয় এবং নিয়ন্ত্রণের বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছিল।

হ্যারির এ ধরনের অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে দ্য সোসাইটি অব এডিটরস। তারা বলেছে, সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়াই হ্যারি এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম সংকীর্ণবাদী নয়।

১৯৯৭ সালে প্রিন্স হ্যারির মা ডায়ানার মৃত্যুর পর এই প্রথম এতো বড় সংকটের মধ্যে পড়লো ব্রিটিশ রাজপরিবার। বর্ণবৈষম্য নিয়ে বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে পরিবারটি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর