ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক আন্দোলনে প্রাণ হারালেন এক কৃষক। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ট্র্যাক্টর উল্টে প্রাণ হারিয়েছেন ওই কৃষক। তবে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই কৃষককে গুলি করা হয়েছে।
মঙ্গরবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ট্র্যাক্টর নিয়ে মিছিল করেন। এই মিছিলকে ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েও কৃষকদের থামাতে পারেনি। মিছিল শুরুর আগেই ভোরে তারা ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লীতে ঢুকে পড়েন।
এনডিটিভি জানায়, কৃষকদের থামাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান চালাতে হয়েছে। উভয় পক্ষের অনঢ় অবস্থানে অনেকে আহত হয়েছেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, আন্দোলনকারী কৃষকরা গেট ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন। সেখানে তারা নিজেদের পতাকাও উত্তোলন করেন। এছাড়া জায়গা থেকে কৃষক ও পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ।
বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনের নেতারা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করেছে। তারা তা ভেঙে মিছিল করছেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর শুরু করার অনুমতি ছিলো কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির। কিন্তু ভোর থেকেই দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে হাজারো কৃষক। সকাল ৮টা নাগাদ সিংঘু এবং তিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যায় কৃষকরা। সেখানে ৫ হাজারের অধিক কৃষকের উপস্থিতি ছিলো।
নভেম্বরের শেষ দিকে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল যে সিংঘু সীমান্ত, সেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রতিবাদকারী জড়ো হন। তারা সব বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। দুইমাস ব্যাপী চলা কৃষকদের এই আন্দোলন বেশ শান্তিপূর্ণই ছিলো। কিন্তু আজকে প্রজাতন্ত্র দিবসেই প্রাণ দিতে হলো এক কৃষককে।