কানাডায় খামারিদের চাষাবাদে বিপ্লব ঘটাতে চলেছে স্বচালিত ট্রাক্টর। ২০৩০ সাল নাগাদ কানাডার এক তৃতীয়াংশ চাষাবাদের জায়গা দখল করে নেবে স্বচালিত ট্রাক্টর।
শুধু তাই-ই নয়, আগামীতে বিশ্বের চাষাবাদে এই স্বচালিত ট্রাক্টর প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসা সনাতনী ধারার চাষাবাদের জায়গা দখল করে নেবে জানিয়েছে কানাডার একটি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
রোববার (২৭ অক্টোবর) কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিসি এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, কাডানায় বর্তমানে যে ধরনের স্বচালিত ট্রাক্টর ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্ক্রিনে স্পর্শ করে নির্ধারণ করে দেওয়া যাচ্ছে, ট্রাক্টরটি কী কাজ করবে। যেমন- সারি ধরে চাষাবাদ করা, আগাছা পরিষ্কার করা, শস্যের চারার পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কাজ, যা কৃষিশ্রমিকের ঘাটতি মেটানো সহজ করবে।
এ বিষয়ে দ্য কনফারেন্স বোর্ড অব কানাডা জানিয়েছে, নতুন গবেষণায় জানা গেছে, আগামী দশকের মধ্যে কানাডার এক লাখ স্বচালিত ট্রাক্টর চাষাবাদের টুল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
দ্য কানাডিয়ান এগ্রি-ফুড অটোমেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক-এর নির্বাহী পরিচালক ডেরেল পেট্রাস বলেছেন, কৃষি ক্ষেত্রের সবকিছু রোবটিকসের সুবিধা পেতে চলেছে।
তিনি বলেন, সারি ধরে চাষাবাদ, ফসল কাটা, আগাছা উত্তোলনসহ শস্যের যে ধরনের যত্ন নেওয়ার দরকার হবে, তা সবই করে দেবে স্বচালিত ট্রাক্টর।
ডেরেল পেট্রাস আরো বলেন, এর মাধ্যমে বেকারত্ব তৈরি হবে না বরং কৃষিশ্রমিক ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে এবং সেইসঙ্গে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসা সনাতনী পদ্ধতির চাষাবাদেও বিপ্লব ঘটাবে এই স্বচালিত ট্রাক্টর।
এছাড়া কৃষকের অনেক সময়ও বাঁচিয়ে দেবে এই ট্রাক্টর।