আর বসে থাকতে পারলেন না নোয়াখালীর মেয়ে বুবলী
চলমান বন্যাকে বলা হচ্ছে স্মরণকালের অন্যতম দুর্যোগ। অসংখ্য মানুষ হারিয়েছে তাদের ভিটে মাটি, সাজানো সংসার। মারা যাওয়া, অসুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
তার চেয়ে বড় কথা, বর্তমানে বন্যাকবলিত মানুষরা ভুগছেন চরম খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের কষ্টে। আশার কথা হলো- এই বড় বিপর্যয় মোকাবিলা করতে দেশের সর্ব সাধারন এগিয়ে এসেছেন।
পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। কেউ ফেসবুকের মাধ্যমে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন, কেউ আবার অর্থ দিয়ে সাহায্য করছেন। আবার কেউ কেউ স্বশরিরে বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে নিজ হাতে সাহায্য করছেন।
দেশের এই চরম অবস্থায় আর বসে থাকতে পারলেন না ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তিনি শুরু থেকেই বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বুবলী নোয়াখালীর মেয়ে। নিজের জেলা এবং আশেপাশের জেলাগুলোতেই বন্যা হয়েছে। নিজের গ্রামের বাড়ির এলাকার মানুষ ভালো নেই বলেই হয়তো এবার নিজে ছুটে গেলেন বন্যা কবলিত এলাকায়।
নায়িকা নৌকায় ছুটলেন বন্যা দুর্গতদের দোরগোড়ায়। নিজ হাতে তুলে দিলেন খাবার পানি, মুড়ি-বিস্কুট, স্যালাইনসহ অনেক রকমের উপহারসামগ্রী।
অন্য অনেকের মতো ফেনীতে গিয়ে বসে থাকেননি বুবলী। তিনি বেছে নিলেন অনেকটা অবহেলায় পড়ে থাকা নোয়াখালী অঞ্চলকে। যেখানে তার নিজেরও পৈতৃক ভিটা। তবে পানি নেমে যাওয়ার পর কিংবা ত্রাণ দেওয়া মানুষের ভিড় কমার পর বুবলী অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশে গিয়ে হাজির হয়েছেন ত্রান নিয়ে। জানান দিলেন, ইচ্ছে করেই রয়ে-সয়ে তিনি নৌকায় চেপেছেন। কারণ, বন্যাকবলিতদের মূল অভাব শুরু হয় বন্যা পরবর্তী সময়ে। তখন সাহায্য করার মানুষও সে অর্থে থাকে না।
সেই ভাবনা থেকে ২৯ আগস্ট পিকআপ ও নৌকা যোগে বিপুল খাবার সামগ্রী বণ্টন করেন নৌখালীজুড়ে। বুবলীর ভাষায়, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরও দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে আমি সবসময় চেষ্টা করি এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’
নোয়াখালী ঘুরে এসে বুবলী আরও জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা খুবই নাজুক। ফলে সবার কাছে উপহার পৌঁছানো খুবই কঠিন কাজ। তবুও তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই বলে, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহার সামগ্রীগুলো সঠিকভাবে পৌঁছায়, সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’
এদিকে ঢাকাই সিনেমার আরেক নায়িকা অপু বিশ্বাসকে ফেনী-নোয়াখালী অঞ্চলের কোনও নৌকায় দেখা না গেলেও তিনি প্রতিনিধি মারফত অর্থ সহায়তা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ত্রাণ তহবিলে।
তবে এখনও ঢাকাই সিনেমার নবাব শাকিব খানের কোনও নড়চড় দেখা যায়নি এ বিষয়ে। এমনকি সোশ্যাল হ্যান্ডেলেও বন্যার্তদের নিয়ে ভাবাবেগ মেলেনি কোনও। অনেকদিন ধরেই আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরমধ্যে ২৯ আগস্ট ফেরার কথা থাকলেও বাতিল করেছেন ঢাকার ফ্লাইট।
