‘রাতের আকাশ থেকে ছিটকে যাওয়া ধ্রুবতার মতো, হঠাৎ চলে গেলেন। বেশি তাড়া ছিল বুঝি? ভালো থাকবেন গুরু’।
চরণগুলো ব্যান্ড সংগীত, কিংবদন্তী গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চুকে উৎসর্গ করে দু:খভারাক্রান্ত মনে লিখেছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও তরুণ সাংবাদিক সিফাত।
সিফাতের মতো সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, নাট্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণ ও দীর্ঘদিনের বন্ধুসহ অনেকেই আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে লিখছেন তার শোক বইয়ে। তাদের লিখনিতে ফুটে উঠেছে আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতি, ভালোবাসা, বিষণ্ণ মনের কথা।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে সোলস ব্যান্ডের প্রাক্তণ সদস্য ও মিউজিক্যাল ব্যান্ড- আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে এ আয়োজন করে।
ভক্তদের স্মরণে কালো মলাট আর সাদা খাতার শোক বইটি ভরে উঠছে বন্দনায়।
১৮৮৫ থেকে ৮৬ সালে আইয়ুব বাচ্চুর ব্যান্ড দলের সূচনার সময় পাশে ছিলেন ড্যানিয়েল ব্রাউন। তিনিও ছুটে এসেছিলেন প্রেসক্লাবে।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংগীত প্রিয় মানুষটি চলে গেছে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তার উত্থান-পতন, ভাঙা-গড়া, সংগীতের প্রতি ভালোবাসা সবই আমার দেখা। আজও এখানে আসার পরে সে দিনের কথাগুলো উঁকি দিচ্ছে।
সাংস্কৃতিক ও গীতিকার আবছার উদ্দিন অলি লিখেছেন, আইয়ুব বাচ্চু ব্যান্ড সংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুতে ব্যান্ডের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। তিনি ছিলেন ব্যান্ড সংগীতের লিজেন্ড। তার গান ও ব্যান্ড যন্ত্রসমূহ সংরক্ষণ করা হোক।
সোলস দলের সাবেক সদস্য ও জুমানিস ব্যান্ড দলের ভোকাল জাহিদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাজার ভক্ত শ্রোতা আর সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মীদের এক মুহূর্তের জন্য আইয়ুব বাচ্চুকে স্মরণ করতে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার আয়োজন করেছি। আমরা সব সময় তার রেখে যাওয়া কাজগুলো এগিয়ে নিতে কাজ করব।
শনিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জামিয়াতুল ফালা ঈদগাহ মাঠে বাদ আসর জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে শায়িত করা হবে কিংবদন্তী এই শিল্পীকে।