ওষুধ আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত করোনাকে ম্যানেজ করে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পোশাক শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষায় ল্যাব তৈরি করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব মালিকপক্ষের পাশাপাশি তাদেরও।
মেয়র বলেন, এই ল্যাব চালুর মাধ্যমে বিজিএমইএ আবারও প্রমাণ করল, বিজিএমইর সদস্যরা শুধু ব্যবসা করে না। মানবিকভাবে শ্রমিকদের পাশেও দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, জীবন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিকরা মিলে এই খাতের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। সুতরাং করোনা এখুনি চলে যাচ্ছে না। করোনাকে ম্যানেজ করে আমাদের চলতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ওষুধ আবিষ্কার না হবে ততদিন পর্যন্ত করোনাকে আমাদের ম্যানেজ করে চলতে হবে।
করোনার এই পরীক্ষার কোনো ফলস (ভুয়া) রিপোর্ট তৈরি করা হবে না বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইর সভাপতি ড. রুবানা হক। এসময় ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, ডায়াবেটিক অ্যসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (বাডাস)-এর সভাপতি প্রফেসর ডা. এ. কে. আজাদ খান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি ল্যাব বসাচ্ছে শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এছাড়া নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা আইসোলেনশন সেন্টারও করবে তারা। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে পোশাক শ্রমিকরা। এরই মধ্যে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে কিছু শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঝুঁকি কমাতে যত বেশি সম্ভব শ্রমিককে পরীক্ষার আওতায় আনতে চায় বিজিএমইএ।