গ্রামের তৈরি পোশাক শ্রমিকরা ঘরে বসে বেতন পাবেন বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) এক বার্তায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ঢাকার বাইরে অবস্থানরত পোশাক শ্রমিকদের এখন ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই, বেতন পৌঁছে দেয়া হবে।
এদিকে, বিজিএমইর শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী এখনো মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পাননি।
এজেআই গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এর চেয়ারম্যান অনন্ত জলিল বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অন্ততপক্ষে ৬ হাজার কারখানা রয়েছে। কিছু গার্মেন্টসে বেতন হয়নি তাই বলে সমগ্র গার্মেন্টস সেক্টরকে দোষারোপ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ছয় হাজার গার্মেন্টস এর মধ্যে মাত্র এক থেকে দেড়শ কারখানার এক লাখ শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়নি। কারখানাগুলো সব কন্ট্রাক্টকে চলে। আমরা যারা শ্রমিকদের বেতন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিয়ে কাজ করাচ্ছি তাদের কথা চিন্তা করেন। দেশের অর্থনীতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বিজিএমইএ জানায়, সহজে ঘরে বসে বেতন-ভাতা পান এ জন্য মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় ২৫ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন পোশাক শ্রমিকরা। দেশের যেখানেই থাকুক না সেখানেই বেতন পৌঁছে দেয়া সম্ভব।
এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কারখানা খোলার বিষয়টি অবহিত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালুর কথা উল্লেখ করে সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খোলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
শুরুতে রোববার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানা, ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা, ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর এলাকা, ২ ও ৩ মে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার কারখানা চালু করা হবে। কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
চিঠির জবাবে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানা চালু করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়।
অন্যদিকে পোশাক কারখানা খুলতে ১৭ পৃষ্ঠার একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৭ পৃষ্ঠার নির্দেশনায় বিজিএমইএ প্রাথমিকভাবে কারখানার কাছাকাছি বসবাসকারী শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্প্রতি গ্রাম থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ারও পরামর্শ দেয় সংগঠনটি।