২৫ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ সপ্তাহে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণের আনাচে কানাচে গিজগিজ করছে মানুষ। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নাই। সকাল থেকে অন্যান্য দিনের মতো দর্শনার্থী থাকলেও দুপুরের পর থেকে মেলায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মানুষের এমন ঢল নেমেছে যে পায়ে হেঁটে মেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে অনেক সময় লাগছে। পণ্য কিনতে ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বাণিজ্য মেলা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিন বিকেলের দিকে যেমন ভিড় হয় এদিন সকাল থেকেই এই পরিমাণ দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে। নামাজের পর থেকে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আগ্রহ নিয়েই মেলায় প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা।
এদিকে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পেরেই খুশি দর্শনার্থীরা। যারা মেলা ঘুরে চলে যাচ্ছেন তাদের প্রায় সবার হাতেই ব্যাগ। কিছু না কিছু কিনেই বাড়ি ফিরছেন সবাই। আবার মেলায় হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যেখানে সামান্য একটু জায়গা পাচ্ছেন সেখানেই অনেকেই বসে পড়ছেন।
গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় পণ্য, কাপড়, খাবারের স্টলের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিকস ও ফার্নিচারের পণ্যের প্যাভিলিয়নগুলোতেও ছুটির দিনে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। দেয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়।
এরমধ্যে মিনিস্টার,ওয়ালটন, ভিশন, মার্সেলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্যাভিলিয়নেই দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম ছাড়।
ফার্নিচারের মধ্যে হাতিল, পারটেক্স, নাদিয়া, আখতার, ব্রাদার্সসহ বিভিন্ন ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নেও বিশেষ ছাড় লক্ষ্য করা গেছে।
মার্সেলের এক্সিকিউটিভ সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সকাল থেকে এরই মধ্যে আমাদের ৬-৭টা ফ্রিজ এবং ৭-৮টা টিভি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ওভেন ব্লেন্ডার ফ্যানসহ আরও বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয়েছে।
তিনি জানান, প্রত্যেকটি পণ্যের ওপর মার্সেল ১০% ছাড় দিচ্ছে। এছাড়া, পণ্য কিনলেই থাকছে ক্যাশব্যাক। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ একটি ফ্রিজের সম্পূর্ণ অর্থ পর্যন্ত পেতে পারে ক্রেতা।
আগারগাঁও থেকে আসা সাইফুল নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘মেলায় ইলেকট্রনিক্স পণ্যে কিছু ছাড় থাকে তাই বাইরে থেকে না কিনে মেলা থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। টিভি দেখছি, পছন্দ হলে ওয়াইফকে নিয়ে এসে কিনে নিয়ে যাব।’
ব্রাদার্স ফার্নিচারের একাউন্টের দায়িত্বে থাকা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। আমরা প্রত্যেকটি পণ্যের উপর ৫-১৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি।’
নাদিয়া ফার্নিচারে পণ্য দেখছিলেন অরিন্দম শীল। তিনি বলেন, ‘টি-টেবিল কিনব তাই ফার্নিচারের দোকানগুলো ঘুরে দেখছি।’