বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দেশের বাজারে বিদেশি ফল মানের দামে চড়া, মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে। তাই সাধ থাকলেও রকমারি বিদেশি ফল দেখে চোখ ফিরিয়ে নিতে হয়। সাধকে সাধ্যের মধ্যে আনতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দেখা মিলছে হরেক রকম বিদেশি ফলের স্টল। যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে নাম না জানা সুস্বাদু বিদেশি ফল। স্বাদ নিতে হলেও একবার ঘুরে আসতে পারেন এসব বিদেশি ফলের স্টলগুলোতে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের বাহারি ফল। বৈচিত্র্যময় বাহারি ফলের স্টলগুলোতে ক্রেতাসমাগমও ছিল চোখে পড়ার মতো।
থাই ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকাডো, ড্রাগন ফল, লংগান, রামবুটান। এছাড়াও প্যাশন বা ট্যাং ফল, নাশপাতি, পার্সিমন, আলুবোখারা, সৌদি খেজুর, স্টার আপেলসহ বাহারি রঙের ফল সাজানো আছে স্টলগুলোতে।
টাঙ্গাইল থেকে আগত ক্রেতা স্কুল শিক্ষিকা শাহনাজ বলেন, এবার মেলায় অনেক কিছু কিনেছি। এখনে বিদেশি ফল কিনতে এসেছি। দাম বাইরের থেকে একটু কম। এজন্য এখান থেকে কিনছি। এছাড়াও ব্যাগ, জুতা কিনেছি।
বিদেশি ফল বিক্রেতা রায়হান বলেন, আমাদের স্টলে ৭/৮ প্রকার বিদেশি ফল আছে। ড্রাগন ৭০০ টাকা, কিউয়ি ৭০০, লংগান ৬০০ ছাড়া অন্যান্য ফল সবই ৭০০ টাকা। মেলায় বিক্রি এখনো জমে ওঠেনি। তবে ক্রেতারা ফল কিনে সন্তুষ্ট।
মেলায় নারী ফল বিক্রেতা রোজা বলেন, এবার মেলায় বিক্রি বেশ ভালো। গতবারের চেয়ে এবার বিক্রি ভালো। সামনের দিনে আরো বিক্রি বাড়বে এটাই আশা করি।
অন্যান্য বিক্রেতারা জানান, দেশীয় ক্রেতাদের সুস্বাদু বিদেশি ফলের সঙ্গে পরিচিত করার জন্যই প্রতিবারের মতো এবারো তারা স্টল দিয়েছেন। আর এসব ফলের স্বাদ নিতে ক্রেতারা আসছেন। অনেকে নাম জানতে চান কিংবা খেয়ে দেখছেন। খেতে ভালো লাগলে কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অন্যান্য ক্রেতারা জানান, এখানে বাহারি নাম না জানা ফলের দেখা মিলছে। নাম-দাম দুটোই জানছেন তারা। এছাড়া এখানে খেয়ে দেখার সুবিধা থাকায় স্বাদ নিয়ে দেখছেন এসব ফলের। দাম একটু বেশি তবে খেতে বেশ ভালো। রাজধানীতে ফলের দোকানে কিনতে পাওয়া গেলেও দাম বেশি হওয়াতে কিনতে পারেন না। এখানে দামে কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ায় খেয়ে দেখছেন তারা।
দেশি ফলের পাশাপাশি পুষ্টি ও গুনাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশি ফলের সঙ্গে ক্রেতাদের পরিচিত করা গেলে সম্প্রসারণ ঘটবে আমদানি বাণিজ্য বলে জানান স্টল মালিকেরা।