বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা সপ্তম দিনে গড়ালেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা-দর্শনার্থীর দেখা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। সকাল দশটায় মেলার দ্বার উন্মোচন হলেও বেলা ১২টাতেও ফাঁকা দেখা যায় মেলা প্রাঙ্গণ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বাণিজ্য মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা পণ্যের পসরা সাজিয়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীর অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন। মাঝে মাঝে স্টলগুলোতে দুই-চারজন এলেও তারা কেবলই দর্শনার্থী, পণ্য কেনায় আগ্রহী নন তেমন।
ক্রোকারিজ পণ্যের কয়েকটি স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো বাণিজ্য মেলা জমে উঠতে উঠতে সাধারণত সপ্তাহ দুই সময় লেগে যায়। মেলার প্রথম ভাগের দিনগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কিছুটা বিক্রি-বাট্টা হয়। তবে এবারের বাণিজ্য মেলায় গত শুক্রবারে প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তেমন বিক্রি হয়নি বলে জানালেন স্টলগুলোর বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় বিদেশি প্যাভিলিয়নের ভারতীয় একটি স্টলের বিক্রেতা ইরফানের সঙ্গে। হরেকরকম কাশ্মীরি শালের পসার সাজিয়ে বসেছেন তিনি। তার স্টলে থাকা শালগুলো দামে একটু বেশি হওয়ায় ক্রেতা পাচ্ছেন না ইরফান।
এই বেলা অবধি কয়টি শাল বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নট এ সিঙ্গেল ওয়ান!'
বিকেলে মেলায় মানুষের সমাগম বাড়লে তখন কিছুটা বেচাকেনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় বিক্রতা ইরফান। তবে বাণিজ্যমেলা শেষে মুনাফা নিয়ে ভারতে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা গেলো তার কথায়। আরো সপ্তাহখানেক পার হলে বেচাকেনা বাড়বে, এবারের মেলা ভাগ্য কেমন তখনই বোঝা যাবে বলে জানালেন তিনি।
ইরফানের মতোই দুর্দশা তুরস্কের আলোকসজ্জার একটি স্টলে। বাহারি রং ও ডিজাইনের টেবিল ল্যাম্প, ঝাড়বাতি, আয়না ও শোপিসের স্টলটির বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, 'এখনো বওনি হয় নাই!'
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর দেড়টা। সকালে শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলা দুপুরেও বাণিজ্যহীন! ক্রেতা-দর্শনার্থীরা তখনও ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছেন। তবে একেবারেই যে বেচাকেনা হচ্ছে না, তা নয়। থাই, চাইনিজ সস্তা ক্রোকারিজ পণ্য, সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্যের দোকানগুলোতে বিক্রি-বাট্টা ভালোই দেখা গেছে।