দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ওঠা-নামায় চলছে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবারের (৭ মে) লেনদেন।
বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। তবে সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
এছাড়া একই সময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়ে। লেনদেনের শুরু হয় ১০টায়, এরপর প্রথম ১০ মিনিটেই ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর থেকে সূচক বাড়তে থাকে। বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর থেকে সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক নেতিবাচক হতে থাকে, এই সময়ে সূচক গত কার্যদিবসের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে। বেলা ১০টা ৫০ মিনিট থেকে সূচক আবার কিছুটা বাড়তে থাকে। বেলা ১১টায় সূচক মাত্র ৩ পয়েন্ট কমে যায়। আর বেলা সাড়ে ১১টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৭১ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহসূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৩৩ পয়েন্টে।
এদিন সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত কার্যদিবসে একই সময়ে লেনদেন হয়েছিল ১৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় আছে- ফরচুন সু, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, পাওয়ার গ্রিড, এস্কার নিটিং, আইবিপি, মুন্নু সিরামিকস, অ্যাডভেন্ট, ন্যাশনাল টিউবস, ন্যাশনাল পলিমার এবং ফাইন ফুড।
সিএসই
অন্যদিকে, একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক (সিএসইএক্স) ১২ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৯৩৭ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫১৪ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গত কার্যদিবসে একই সময়ে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
একই সময়ে দাম বাড়ার ভিত্তিতে সিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, এইচআর টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ফিডমিল, মুন্নু সিরামিকস, পাওয়ার গ্রিড, পূবালী ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, কেপিসিএল, রূপালী ব্যাংক এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।