টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ২০১৮ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৮০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) গ্রামীণফোন লিমিটেডের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ লভ্যাংশ অনুমোদন হয়।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ার হোল্ডাররা সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। গ্রামীণ ফোনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোষিত লভ্যাংশের মধ্যে ১৫৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ (ক্যাশ) এবং ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশের (ক্যাশ) অনুমোদন হয়েছে বার্ষিক সাধারণ সভায়।
২০১৮ সালে সর্বমোট লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে পরিশোধিত মূলধনের (শেয়ার প্রতি মূল্য ২৮ টাকা) ২৮০ শতাংশ। বরাবরের মতো গ্রামীণফোন ফাস্ট-ট্র্যাক অনলাইন পদ্ধতিতে লভ্যাংশ বন্টনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ প্রধান পিটার বি. ফারবার্গ, শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং এর ফলে ব্যবসায় কেমন প্রভাব পড়তে পারে সেসব বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যেকোনো নীতিমালা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা আইন এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া উচিত। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি গতিশীল হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে অডিটের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা সরকারের পাওনা বিষয়ে ফারবার্গ বলেন, ‘এ ধরণের দাবি আইনগতভাবে ভিত্তিহীন। উল্লেখিত দাবি প্রত্যাহার করে এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে বিটিআরসির প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ফারবার্গ।’
সভায় তিনি আরও বলেন, ‘এসএমপি নীতিমালা এমন হওয়া উচিত নয়, যার কারণে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের সুযোগ কমে যায়।’
এবারের বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে পরিচালকদের ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদন, কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণ ২০১৮, পরিচালকদের নির্বাচন ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লাইয়েন্স নিরীক্ষক নিয়োগের বিষয় উল্লেখযোগ্য ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভূক্তির পর থেকে এবার দশম এজিএম অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণফোনের।