ঢাকা: চারদিন সূচক পতন আর একদিন উত্থানের মধ্যে দিয়ে এপিলের আরো একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। আলোচিত এই সপ্তাহে সূচক, লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এর ফলে বাজার মূলধন অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারকে টেনে ওঠাতে বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিশেষ বৈঠকে বসে। এরপর তাদের পরামর্শগুলো প্রস্তাবনা আকারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দেয়। কমিশন এ পরামর্শগুলো নিয়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
এরপর দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাজারে সার্বিক অবস্থা অবহিত করেন। তারপর দিন টানা ছয়দিন পর বৃহস্পতিবার উভয় বাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়ে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে সূচক বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় দুই পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ১৯ হাজার ৬৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিএসই থেকে কমেছে ৯ হাজার ৬২৪ কোটি ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯ টাকা। আর সিএসই থেকে মূলধন কমেছে ১০ হাজার ১৫ কোটি ৮২লাখ ৯হাজার টাকা।
এর আগের সপ্তাহে কমেছিল ৯ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। তার এর আগের সপ্তাহে কমেছিল সোয়া ৬ হাজার কোটি টাকা। তারও আগের সপ্তাহে কমেছিল সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে (৭-১১ এপ্রিল) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৭৩ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৫ টাকার। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১২ কোটি ৬৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫০ টাকার। যা শতাংশের হিসেবে ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম।
ফলে দৈনিক লেনদেনের গড়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা থেকে কমে ৩৩৪ কোটি টাকা।
এই সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ২৮০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহ দাম বেড়েছিল ১২৪টির, কমেছিল ৮৯টির, আর অপরিবর্তিত ছিল রয়েছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বেশিরভাগ কোম্পানির শোয়ারের দাম কমায় তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ৬০১ টাকা
এ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫টির, কমেছে ২২৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে।