বাজেটে দীর্ঘ সময় ধরে অগ্রাধিকার পাওয়া বিদ্যুৎ খাতে এবার বরাদ্দ কমিয়ে আনা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে ২৯ হাজার ২৩০কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় বিভাগে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে এনে ২৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা করা হয়। সে হিসেবে সংশোধিত বাজেটের তুলনায় কিছুটা বাড়তি রয়েছে বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তাঁর প্রথম বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুতের উন্নয়নে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। আর পরিচালন বরাদ্দ ৫৩ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বিদ্যুৎ খাতকে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রত্যেক বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের পারদ ছিল চড়া। টানা ঊর্ধ্বমূখী থাকা বিদ্যুৎ খাতকে এবার নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।
আগের বাজেটগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও এবার সেখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চালন ও বিতরণকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ৬৩ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন ও সিস্টেম লস ৭.৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
বাজেটে বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিক্রয়মূল্যে সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আসছে বছরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হতে পারে।