মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে গ্রাহকদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে ‘নগদ’। প্রতিষ্ঠানটির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় আলোচকেরা এমএফএস খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। এসময় ডিএমপির (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ এবং ডিএমপির (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. মাহবুব আলম, ‘নগদ’ লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ও ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক। অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর চিফ অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লে. কর্নেল মো. কাওসার সওকত আলী (অব.) ধন্যবাদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তিন বছরে ‘নগদ’ অনেক ভালো করেছে। ‘নগদ’-এর মতো প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক সেবা বাজারে যত বেশি থাকবে, মানুষ ততো বেশি উপকৃত হবে। আমরা চাই বাজারে যারা এমএফএস সেবা দিচ্ছে, তারা সবাই ভালো করুক। গ্রাহকের কষ্টার্জিত অর্থ যেন নিরাপদ থাকে, সে জন্য সবসময় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া গ্রাহকদেরও সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ এবং ডিএমপির (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. মাহবুব আলম বক্তব্য দেন। তাঁরা নগদ-এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে গ্রাহকের সেবা দিতে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বরাবরের মতো সহেযাগিতা করার আহ্বান জানান।
‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘নগদ’ শুরু থেকে একটি গ্রাহকবান্ধব সেবা হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে আসছে। ‘নগদ’-এর প্রযুক্তি, লেনদেন খরচ এবং সহজলভ্যতা অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে যুগোপযোগী। আমি আন্তরিকভাবে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা বিভিন্ন সময় আমাদের বুদ্ধি-পরামর্শ ও প্রয়োজনে সহযোগিতা করেছেন। আমার বিশ্বাস, সামনের দিনেও আমাদের পারস্পরিক এই সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন থাকবে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা ‘নগদ’-এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বিষয়ে প্রশংসা করেন। এত কম সময়ে এত বেশি গ্রাহকভিত্তি তৈরি করা এবং কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া কয়েক সেকেন্ডে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রযুক্তি নিয়ে আসার বিষয়গুলোর প্রশংসা করেন অতিথিরা।
‘নগদ’ ইতিপূর্বে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। তার মধ্যে মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ, উদ্যোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি, সন্দেহজনক লেনদেনসহ প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজসমূহ উল্লেখযোগ্য।
এ ছাড়া মতবিনিময় সভা উপলক্ষ্যে নৈশভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ‘নগদ’-এর পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।