মূল্যবান সময় বাঁচিয়ে, যেকোনো স্থান থেকে প্রবাসীরা অনলাইন বা ইন্টারনেট অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে মুহূর্তেই দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দিতে পারছেন। ফলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবারও রমজানে বিকাশে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০২১-এর এপ্রিলের তুলনায় এ বছর এপ্রিল মাসে বিকাশে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় দ্বিগুণ।
প্রবাসীরা যেমন অনায়াসে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, দেশে থাকা প্রিয়জনেরাও অর্থ এবং সময় ব্যয় করে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রেমিটেন্স তোলার পরিবর্তে বাড়ির কাছের এজেন্টের কাছ থেকে যেকোনো সময় ক্যাশ আউট করতে পারছেন। পাশাপাশি, ঘরে বসেই বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্টসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন। এসব সুবিধার কারণে ক্রমশই প্রবাসীদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে বিকাশে রেমিটেন্স পাঠানোর সেবা। দেশে থাকা প্রিয়জনরাও বিকাশে রেমিটেন্স গ্রহণকে মনে করছেন সহজ, ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ।
উল্লেখ্য, এ মুহূর্তে বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশ থেকে অনলাইন বা ওয়ালেট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৬৭টি মানি ট্রান্সফার সংস্থা হয়ে দেশের ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৬ কোটির বেশি বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিরাপদে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা।
সারা দেশে বিকাশের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক একেবারে সাধারণ মানুষের ঘরে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে লাস্ট-মাইল-সল্যুশন হিসেবে রেমিটেন্স গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে দিন দিন বিকাশের ব্যবহার আরও বাড়ছে। এ মুহূর্তে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে দিনে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিটেন্স গ্রহণ করতে পারেন একজন গ্রাহক।
অভিবাসীদের বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোতে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার রেমিট্যান্সের উপর ২ শতাংশ প্রণোদনাকে বাড়িয়ে সম্প্রতি ২.৫ শতাংশ করেছে। বিকাশ রিয়েল টাইমে সরকারের প্রণোদনাসহ সেই রেমিটেন্স বিতরণ করে। বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোকে আরও অনুপ্রাণিত করতে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে।