অগ্রসরমান ডিজিটাল জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অফিসার্স ক্লাব ঢাকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য গত চারদিন ধরে ক্লাবে চলা ঈদ আনন্দ মেলায় ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।
রোববার (১৭ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে অফিসার্স ক্লাব ঢাকা’র মহিলা কমিটির সভানেত্রী সাবেক তথ্যসচিব বেগম কামরুন নাহার ও সাধারণ সম্পাদক সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফেরদৌসি খানের নেতৃত্বে কমিটির সকল সদস্য একযোগে নগদ-এর অ্যাকাউন্ট খোলেন।
এ সময় নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম মহিলা কমিটির সদস্যদের অ্যাকাউন্ট খুলতে সহায়তা করেন। যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি দেখে অফিসার্স ক্লাবের সদস্যরা চমৎকৃত হন এবং নগদের উদ্ভাবনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তবে তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগদের উদ্বোধন করার পর থেকেই অফিসার্স ক্লাব ঢাকা’র অনেক সদস্য নগদের আধুনিক সব সেবা গ্রহণ করে আসছিলেন। মেলায় তারা নগদ পেমেন্টের মাধ্যমে কেনাকাটা করেছেন এবং নগদের সেবার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
সরকারি ভাতা, উপবৃত্তিসহ নানান ধরনের অর্থ সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে নগদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সে কারণেও ক্লাবের সদস্যরা নগদ-কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
রোববার মেলার শেষ দিনে অফিসার্স ক্লাব মহিলা কমিটির সভানেত্রী বেগম কামরুন নাহার নগদের সেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, নগদ সরকারি সেবা হওয়ায় এর প্রতি আমাদের বাড়তি নজর আছে। ক্লাবের সদস্যরাও এটি সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমি নিজেও এ কারণে নগদের অ্যাকাউন্ট খুলেছি।
যাদের নিজস্ব দোকান নেই, এমন সব উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতেই অফিসার্স ক্লাব মেলা আয়োজন করে থাকে বলে জানান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. ফেরদৌসি খান। তিনি বলেন, আমরা খেয়াল করেছি নগদের ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে এসব উদ্যোক্তাদের লেনদেন ও কেনাবেচার প্রক্রিয়া সহজ করেছে।দেশে ডিজিটাল পদ্ধতির এই লেনদেন প্রচলনে এই প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মনে করেন।
এ সময় নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, একেবারে দূরপ্রান্তের মানুষটিকেও ডিজিটাল সেবায় তুলে আনতেই কাজ করছে নগদ। আর এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা এবং অফিসারদের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ সরকারি এই সেবাটির প্রসারে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা রাখছে।
অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এই ঈদ আনন্দ মেলার পৃষ্ঠপোষক। মেলা আয়োজনে বিশেষ সহায়তা দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ।
মূলত দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে প্রতি বছর দুইবার এই মেলার আয়োজন করে অফিসার্স ক্লাব। দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৩০টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নেয়। স্টলগুলো মূলত তৈরি পোশাক, শাড়ি, চামড়াজাত পণ্য, গহনা এবং শোপিসসহ আরো নানা ধরনের পণ্যসম্ভার দিয়ে সাজানো ছিল।
নগদের গ্রাহক সংখ্যা এরই মধ্যে ছয় কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রতিদিন গড়ে ৭৫০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।