ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফি এন্ড এনভারমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন এর পক্ষে এবং বিপক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। বিভাগের ১৭-১৮ এবং ১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চায় নাম অপরিবর্তিত থাকুক। অপরদিকে ১৯-২০ থেকে নিচের বাকি ব্যাচগুলো চায় বিভাগের নাম পরিবর্তন করে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করা হোক।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে সচেতন শিক্ষার্থীর ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী। তাদের কিছুক্ষণ পরেই আবারও বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে অপর একদল শিক্ষার্থী।
এসময় সচেতন শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম পরিবর্তন, চলবে না চলবে না; সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার চাই; বিভাগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না চলবে না; বিচার চাই বিচার চাই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। একইসময়ে তাদের মুখোমুখি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে দাঁড়ানো অপর একাংশ তুমি কে আমি কে দুষ্কৃতিকারী দুষ্কৃতিকারী, কে বলেছে কে বলেছে জালিয়াতকারী জালিয়াতকারী; নাম চেঞ্জের টালবাহানা, মানিনা মানবো না; আমার স্বাক্ষর করলো কে, এর উত্তর আগে দে, স্বাক্ষর জালিয়াতির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আমার পরিচয় কাড়লো কে? এই উত্তর আগে দে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
নাম পরিবর্তন না চাওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশের প্রায় সবকয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট নামেই এই সাব্জেক্টটি পড়ানো হয়। শুধুমাত্র যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নামে রয়েছে। এছাড়া বিসিএস এবং পিএসসি’র ক্ষেত্রে জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সুযোগ সুবিধা বেশী।
অপরদিকে নাম পরিবর্তন চাওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তির সময় তারা এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি দেখে ভর্তি হলেও ভর্তি হওয়ার পর জানতে পারেন বিভাগের নাম জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট। বিভাগের নাম পরিবর্তন করার সময় স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে বিভাগে আবেদন পত্র দিয়ে যাবতীয় প্রসেসের মধ্য দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে যায় বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন না। পরবর্তীতে চাকরির বাজারে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে বিধায় তারা এখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভাগের নাম পরিবর্তন চান।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনেছি আমি। আমি তাদের দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে পৌঁছাবো। আজকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়টি উঠানো হবে। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের সুবিধার্থেই একটি সিদ্ধান্ত নিবে বলে আমি আশাবাদী।
উল্লেখ্য, বিভাগ চালুর পর থেকে বিভাগের নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড জিওগ্রাফি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রসপেক্টাসে এই নাম দেওয়া হলেও ভর্তি পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন বিভাগের নাম জিওগ্রাফি এন্ড এনভাইরনমেন্ট। শিক্ষার্থীদের দাবি, তিন বছর আগে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের অজান্তে স্বাক্ষর নিয়ে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়।