শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ সেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় ১০টি আলাদা ইউনিটে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ৭টি ইউনিটে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদনের সময় ১ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট সংখ্যা ১০টি থেকে ৭টি করা হয়েছে। একইসাথে ভর্তি পরীক্ষার ফী কমিয়ে আনা হবে। তবে কত টাকা কমানো হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। অতি দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব আলী রেজা আরও বলেন, কিছু নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারণে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখ ১লা জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা ৩রা জানুয়ারি থেকে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। আজকের সভায় পাশ মার্ক ৩৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া একটি বিভাগে ৪ জনের বেশি পোষ্য কোটায় ভর্তি না করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
এবার ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদে সাথে যুক্ত হয়েছে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি। একইসাথে সি ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা অনুষদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট এবং আইন অনুষদ৷ এছাড়া বাকি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২১ জানুয়ারি শেষ হবে। মোট ১০ ইউনিটে এবারের ভর্তি পরীক্ষা সম্ভাব্য ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (শুক্রবার ও শনিবার ব্যতিত) চলবে। এ, বি, সি ও ডি ইউনিটের প্রতিটির জন্য ৯০০ টাকা, ই ইউনিটের জন্য ৭৫০ টাকা, সি-১, এফ, জি ও এইচ ইউনিটের জন্য ৬০০ টাকা এবং আই ইউনিটের জন্য ৫০০ আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জোর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইউনিট সংখ্যা ও ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমাতে উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।