অন্যের জমিতে কাজ করে কিংবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন গোপীনাথ। নিজের অদম্য ইচ্ছে শক্তি আর প্রচেষ্ঠায় সখের বসে নিজ বাড়ির উঠানে গড়ে তোলেন ফুলেন বাগান। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকেই ভাগ্য বদল শুরু। নিবিড় পরির্চযা আর যত্নে গড়ে তুলেন এই দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। বলা হয়, যে মানুষ ফুলকে ভালোবাসে তার সুন্দর মন আছে। ফুল প্রেমী আর ভ্রমণ পিপাসুরা অবসর সময়ে ছুটে আসেন গোপীর বাগানে। ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হন গোপীনাথ বর্মন।
গোপীনাথ এখন ৫ বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করছেন। দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করেছেন বিশ্রামাগার। তার প্রতিদিনে আয় এখন ১ হাজার টাকা।
সরেজমিনে জানা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইাউনিয়নের বাফলা গ্রামের বাসিন্দা গোপীনাথ বর্মন একটি ফুলের বাগান করেন। সেখানে কয়েক প্রজাতির ফুলের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির উঠানে ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন একটি ফুলের বাগান। কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতায় তিনি ৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী।
ওই বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রজনীগন্ধা, জারবেরা গোলাপ, গেন্ডারিয়া, ক্যানডুলার, গাচুবাম ট্রেটাজ, মন্ডিওঝাউ, চাইনিজ পাম্প, ললনি পাম্প, ময়ুরপঙ্কিরাজ কার্পেট ঘাসসহ নানা প্রজাতির মূল্যবান ফুল।
প্রতিদিন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন তার বাগানে। দর্শনার্থীদের ১০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকতে হয় ওই বাগানে।
গোপীনাথ বর্মন জানায়, ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম। ৫ বিঘা জমিতে বছরে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। আর সব মিলিয়ে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস ও ভ্যালেন্টাইন ডে ছাড়াও বিশেষ দিবসগুলোতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি ফুল বিক্রি হয়।