সাইবার দুনিয়ায় অন্যতম আতঙ্কের নাম হচ্ছে ডিপফেক ভিডিও প্রযুক্তি। ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিক অপপ্রচারণা, পর্নোগ্রাফি কিংবা আক্রমনাত্নক ভুয়া ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তাই ফেসবুকে ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করতে এবং গুজব ঠেকাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফেসবুক কর্তৃক ‘ডিপফেক ডিটেকশন চ্যালেঞ্জ’ আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। কারণ হাই পারফরমেন্স মডেলগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৫.১৮ শতাংশ নির্ভুলভাবে ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করতে পেরেছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ডিপফেক ভিডিও শনাক্তের একটি বেজলাইন তৈরি হয়েছে। একটি বিশাল সংখ্যার ভিন্ন ডেটা সেট তৈরি এবং ডিপফেক সনাক্তকরণের মডেলগুলিকে বেঞ্চমার্ক করতে, নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে এবং একে অপরের কাছ থেকে শেখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এরকম প্রতিযোগিতা।
ডিপফেক ডিটেকশন চ্যালেঞ্জে দুই হাজার ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে। যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রায় ৩৫ হাজার ভিন্ন মডেল তৈরি করে একটি নতুন ডেটাসেট করেছে। এ লক্ষ্যে ফেসবুক বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি লিডার এবং গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
উল্লেখ্য ডিপফেক ভিডিও প্রযুক্তি হচ্ছে, এমন একটি প্রযুক্তি যা দিয়ে যে কোনো ব্যক্তির নকল ভিডিও তৈরি করা যাবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি এমন কোনো বক্তব্য বা কাজ করেননি কিন্তু ভিডিও দেখা যাবে সেই ব্যক্তি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কাজ করছেন, যা আসলে তার নকল ভিডিও।