ফেসবুকের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নীতিমালা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ফেসবুকের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী গুগল রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে টুইটারও তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ফেসবুককে বেশ কয়েকবার তথ্য যাচাইকরণের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাপ প্রয়োগ করা হলেও তারা করেনি।
ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে ইউজারদের জন্য ‘ট্রান্সপারেন্সি ফিচার’ নামের কিছু নতুন ফিচার চালু করেছে। ফলে একজন ইউজার কেনো তার প্রোফাইলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখছে তা দেখে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। অন্যদিকে এই সোশ্যাল টেক জায়ান্ট রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন আরও সহজে প্রচারণার জন্য অনলাইন লাইব্রেরি যুক্ত করেছে।
ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ফেসবুকের অনেক ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু তা যখন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আসে তখন তাদের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা হয়।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, রাজনৈতিক প্রচারণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ফেসবুক এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই-বাছাই করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সমালোচকরা মনে করেন, ফেসবুক এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদেরকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা প্রচারণা যাচাই করা সম্ভব হয় না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান